ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় সিসিটিভি ক্যামেরায় সুরক্ষিত বাড়ি থেকেই পরিচালিত হচ্ছিল মাদক ও ভারতীয় চোরাই পণ্যের অবৈধ ব্যবসা। শেষ পর্যন্ত পুলিশের চালানো যৌথ অভিযানে ধরা পড়েছে একই পরিবারের পাঁচ ভাই-বোন। উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ মাদক ও অবৈধ সামগ্রী। আজ (বুধবার) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের সেনারবাদী গ্রামে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। খবর তালাশ বাংলা।আখাউড়া উপজেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সল উদ্দিনের নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়। অভিযানে সহায়তা করে পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।সঙ্গে ছিলেন আখাউড়া বিওপি কমান্ডার জেসিও-৯৩১৫ সুবেদার নুরুল আমিন এর নেতৃত্বে ১৫ জন বিজিবি সদস্য, আখাউড়া থানার সাব-ইন্সপেক্টর স্বপন কুমার ও তার ৩ জন পুলিশ সদস্য এবং জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে ৭ জন সদস্য। অভিযানে একাধিক ঘর তল্লাশি করে উদ্ধার করা হয় সাড়ে ৩ হাজার ইয়াবা বড়ি, ৬০০ ভারতীয় ওষুধ, ১৩টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল, ১৭টি সাধারণ মোবাইল ফোন, দুটি ল্যাপটপ, মাদক বিক্রির নগদ ২১ হাজার টাকা, ছয়টি সিসিটিভি ক্যামেরা ও দুটি পাওয়ার ব্যাংক। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. ইদন মিয়া (২৫),,মো. মোরশেদ (২৮),মোছা. আয়মন আক্তার (৩০),মোছা. সপ্না (২৮),মো. জনি মিয়া (২৯)।সকলের বাড়ি সেনারবাদী গ্রামে, পোস্ট অফিস আখাউড়া সিপি, থানা আখাউড়া, জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সীমান্তবর্তী এই পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে অবৈধ মাদক ও ভারতীয় চোরাই পণ্যের ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন। নিরাপত্তার জন্য বাড়ির চারপাশে স্থাপন করেন সিসিটিভি ক্যামেরা, যাতে বাহিনীর তৎপরতা সহজে ধরা পড়ে। অভিযান প্রসঙ্গে সহকারী কমিশনার ফয়সল উদ্দিন বলেন, অভিযানের সময় আমাদের ওপর হামলার চেষ্টা চালানো হয়, তবে আমরা সতর্ক অবস্থায় থাকায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। আসামিদের বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় দুটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিয়ে তাদের আখাউড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন আখাউড়া থানার সাব-ইন্সপেক্টর স্বপন কুমার।