আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে দেশজুড়ে কোরবানির গবাদিপশু ও খামারের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চললেও কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে এখনো পর্যন্ত এ সংক্রান্ত কোনো তালিকা প্রস্তুত করতে পারেনি।ফলে খামারিরা গবাদিপশুর সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অপরদিকে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। অথচ সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, কোরবানির পশু বিক্রির ক্ষেত্রে খামারগুলোর অনলাইন রেজিস্ট্রেশন ও প্রামাণ্য তালিকা থাকা আবশ্যক। এতে করে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ট্রেসিং ও বাজার ব্যবস্থাপনা সহজ হয়।
কিন্তু বুড়িচংয়ের প্রাণিসম্পদ অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের এখনো কোনো তালিকা প্রস্তুত হয়নি বা কোবানির গরু ও খামারের তথ্য দিতে পারেনি প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তা ডা.আতিকুর রহমান । শুধু নামমাত্র অনুমান করে কোবানির গবাদিপশুর তালিকা জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে।
সেই নামমাত্র তালিকা থেকে তিনি প্রতিনিধিকে জানান, উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে কোরবানি জন্য প্রস্তুত রয়েছে ১০ হাজার ৩৬৪টি গরু। এ ছাড়াও এই দপ্তর পোল্ট্রি খামারের সঠিক তথ্যও দিতেও ব্যর্থ হয়। স্থানীয় একাধিক খামারি অভিযোগ করে বলেন, “বারবার প্রাণিসম্পদ অফিসে গিয়েও আমরা রেজিস্ট্রেশন করতে পারিনি। শুধু বলা হয় তালিকা প্রক্রিয়াধীন। কিন্তু ঈদ তো দরজায় কড়া নাড়ছে।” পশু ব্যবসায়ীরা জানান, তালিকাভুক্ত না হলে অনলাইন হাট বা সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে তারা বঞ্চিত হবেন। এতে তাদের আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের গাফিলতির কারণে কোরবানির পশু বাজার ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল। তারা আরো জানায়,উপজেলা প্রাণিসম্পাদ দপ্তরের চরম গাফিলতি বা খামারগুলোকে সঠিক তত্বাবধন না করায় বেশি লাভের আশায় অনেক খামারি পশুচিকিৎসকদের পরামর্শ না মেনে গরুকে স্টেরয়েড দেন। অনেক ক্ষেত্রেই হাতুড়ে চিকিৎসক ও বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানি প্ররোচনাও দেয় খামারিদের। কোরবানির ঈদ সামনে রেখে কৃত্রিমভাবে গরু মোটাতাজাকরণের ভয়ঙ্কর বিষাক্ত খেলায় মেতে ওঠেন একশ্রেণীর অতিলোভী ব্যবসায়ী। এ বিষয়ে বুড়িচং উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.আতিকুর রহমান বলেন, “একটি তালিকা তৈরি করে জেলাতে প্রেরণ করেছি। জনবল ঘাটতির কারণে সুনির্দিষ্ট তালিকা করতে বিলম্ব হচ্ছে এবং খামারে তালিকাকরণে খামারিদের সহযোগীতা পাচ্ছি না। এদিকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের গাফিলতির কারণে কোরবানির পশু বাজার ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এবছর বুড়িচংয়ে কোরবানীর গবাদিপশুর হাট ২১টি, তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সড়কে গরু – ছাগলের হাট না বসার নির্দেশনা রয়েছে। বিশৃঙ্খলা যেন না হয় সেদিকে প্রশাসনের নজরদারিতে থাকবে গবাদিপশুর হাট।