কুমিল্লার বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়ার খাল-বিল থেকে একসময় প্রচুর দেশি মাছ পাওয়া যেত। বর্ষা মৌসুমে এসব জলাশয়ে মা মাছ ডিম ছাড়ত এবং মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন হতো। কিন্তু এখন সেই চিত্র আর নেই। হারিয়ে যাচ্ছে কৈ, শিং, মাগুর, পাবদা, টেংরা, পুঁটি, শোল, বোয়াল, চিংড়ি, গজারসহ প্রায় ৫০ প্রজাতির দেশি মাছ। এ অঞ্চলের সচেতন মানুষেরা জানান এই মাছগুলো বিলুপ্তির পেছনে দায়ী একাধিক কারণ রয়েছে,তা হলো ম্যাজিক, ভেসাল ও কারেন্ট জালের অবৈধ ব্যবহার,ফসলি জমিতে অপরিকল্পিত কীটনাশক প্রয়োগ,খাল-বিল-নদীর গভীরতা হ্রাস ও দূষণ,উজানে বাঁধ নির্মাণ,মা মাছ ডিম ছাড়ার আগেই ধরা,বিদেশি রাক্ষুসে মাছের চাষ। স্থানীয়রা জানান, সামান্য বৃষ্টিতে পানি জমলেই এক শ্রেণির মানুষ নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ ধরতে শুরু করে। এতে মা মাছ ও পোনা মাছ ধ্বংস হয়ে যায়। ফলে মাছের প্রজনন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির পানি খাল-বিল দিয়ে চলাচলের বাঁধাগ্রস্ত করছে। বুড়িচং উপজেলার বাসিন্দা কবি ও সাংবাদিক কাজী খোরশেদ আলম,শিক্ষক ও মানবাধিকার কর্মী মোসলেহ উদ্দিন,ফাস্টফুড ব্যবসায়ী শওকত হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি আরিফ আহমেদ মাহাদী ও গৃহিণী শারমিন আক্তার তালাশ বাংলাকে জানায়, দেশি মাছ রক্ষায় এখনই প্রয়োজন কঠোর পদক্ষেপ, আইন প্রয়োগ এবং সামাজিক সচেতনতা। তা না হলে দেশীয় মাছ শুধু স্মৃতিতেই থেকে যাবে। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার সুব্রত গোস্বামী জানান, বর্ষার শুরুতে দুই মাস এসব জাল ব্যবহার নিষিদ্ধ। জনবল সংকট থাকলেও তারা প্রচার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।