কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে গত ৩ ফেব্রুয়ারি নিজ বাড়িতে খুন হন ঘোলপাশা ইউনিয়নের আমানগন্ডা এলাকার আব্দুল মোমিনের স্ত্রী শাহিদা বেগম (৬৫)। তাকে হত্যা করে টয়লেটের ট্যাংকির মধ্যে বিবস্ত্র অবস্থায় ফেলে রেখে যায় হত্যাকারী। সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার পর পারিবারিকভাবে তাকে দাফন করা হয়। এ ঘটনা নিহতের ছেলে মাছুম বিল্লাহ বাদী হয়ে থানায় মামলা করলে পুলিশ তদন্তে নামে। মামলার পর তদন্তকারী কর্মকর্তা হিশাম উদ্দিন জুনায়েদ ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে প্রধান সাক্ষী, নিহতের স্বামী, ইমাম আব্দুল মোমিনকে গত ২৭ মার্চ গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়। পুলিশ মামলাটির অধিকতর তদন্তের জন্য আসামির ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে আব্দুল মোমিন শাহিদা বেগমকে খুনের কথা স্বীকার করেন এবং আদালতে এ জবানবন্দি দেন।বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি মোহাম্মদ হিলাল উদ্দীন আহমেদ। জানা গেছে, ঘটনার আগের দিন ভিকটিম শাহিদা বেগম তার শাশুড়ির সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। বিষয়টি তিনি ছেলে আব্দুল মোমিনকে জানান। পরে তিনি তার স্ত্রীকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এতে ভিকটিম রেগে তাকে গালমন্দ করেন। এতে স্বামী ক্ষিপ্ত হয়ে ভিকটিমকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেন। রাত সাড়ে চারটায় নিহতের লাশ বাড়ির টয়লেটের ট্যাংকিতে ফেলে দেন। পরে আসামি গোসল করে মসজিদে নামাজ পড়তে যান। মসজিদ থেকে এসে ছেলেকে ফোন দিয়ে বলেন, তার মাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা খোঁজাখুজির পর ভিকটিমের লাশ খুঁজে পান। নির্মাণাধীন ভবনের পিলার ধসে শ্রমিকের মৃত্যুনির্মাণাধীন ভবনের পিলার ধসে শ্রমিকের মৃত্যু এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি মোহাম্মদ হিলাল উদ্দীন আহমেদ জানান, মামলার তিন মাসের মধ্যে চাঞ্চল্যকর ও ক্লুলেস একটি হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। বৃদ্ধ মায়ের সঙ্গে খারাপ আচরণের ফলে স্ত্রীর ওপর রাগান্বিত হয়ে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেছেন আসামি আব্দুল মোমিন।