Spread the love

টানা বর্ষণ ও ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের প্রভাবে কুমিল্লার গোমতী নদীর পানি দ্রুতগতিতে বাড়ছে। ফলে গোমতীর চরাঞ্চল ও দুই তীরের বাসিন্দাদের মধ্যে নতুন করে উদ্বেগ-আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, প্রতি ঘণ্টায় গোমতীর পানি প্রায় ১০ সেন্টিমিটার করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরই মধ্যে নদীর বাঁধসংলগ্ন অনেক জমি ও বসতবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সকাল ১০টা পর্যন্ত নদীর পানি বিপদসীমার ১ দশমিক ৩৮ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও টানা বৃষ্টির কারণে পানি আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গেলো বছরের আগস্টে ভয়াবহ বন্যায় কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বুড়বুড়িয়া এলাকায় গোমতীর বাঁধ ভেঙে দুই উপজেলা প্লাবিত হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে এবারও নদীর পানি বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মধ্যে শঙ্কা আরও তীব্র হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে বুড়িচং উপজেলার কামারখাড়া, বুড়বুড়িয়া, ভান্তি, টিক্কার চর, চানপুর ব্রিজ ও সংরাইশ এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গোমতীর চরাঞ্চলের অনেক সবজিক্ষেত ও ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। কোথাও কোথাও বাসিন্দারা বাধে অথবা নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।স্থানীয়রা জানান, বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে যেকোনো সময় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার নিতে পারে। তাই গোমতীর দুই পাড়ে আতঙ্ক এখন চরমে। এ বিষয়ে বুড়িচং উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তানভীর হোসেন তালাশ বাংলাকে বলেন, “গোমতীর পানি বিপদসীমার ১ দশমিক ৩৮ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার, গ্রাম পুলিশ ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা মাঠে কাজ করছেন। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ৩৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কন্ট্রোল রুম চালু রাখা হয়েছে।” জেলা প্রশাসনও নদীপাড়ের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য সতর্কতা জারি করেছে। পাশাপাশি শহরের নিম্নাঞ্চলগুলোতে জলাবদ্ধতারও সৃষ্টি হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *