শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে রাজনীতির বিস্তার বন্ধ না হলে দেশের ভবিষ্যৎ চরম হুমকির মুখে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশ্লেষক, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও স্টেইট ইউনিভার্সিটি অব নিউ ইয়র্কের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইমরান হোসাইন আনসারী। (১১ জুলাই) শুক্রবার সন্ধ্যায় কুমিল্লার ফকির বাজার স্কুল অ্যান্ড কলেজ মিলনায়তনে বাঁধন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের আয়োজনে এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করায় তাকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। ড. ইমরান আনসারী বলেন, “গত ১৭ বছর ধরে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে রাজনীতির অনুপ্রবেশ শিক্ষার মান ধ্বংস করেছে। এর ফলে সমাজে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি ও পারিবারিক বিরোধ বেড়ে গেছে। মাদক সমস্যারও মূল কারণ রাজনীতির অপসংস্কৃতি।”
তিনি আরও বলেন, “যদি শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে রাজনীতিমুক্ত করা না যায়, তাহলে যুবসমাজ ধ্বংস হয়ে যাবে। গত জুলাই মাসে আবু সাঈদ ও মুগ্ধরা জীবনের বিনিময়ে আমাদের যে নতুন বাংলাদেশ উপহার দিয়েছে, সে বাংলাদেশে আমরা আর কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনীতির ছায়া দেখতে চাই না।”
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সচিব ড. মোঃ সানোয়ার জাহান ভূঁইয়া। সভাপতিত্ব করেন ফকির বাজার স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ পিজিউল আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তানভীর হোসেন, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও কুমিল্লা জজকোর্টের সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট আ হ ম তাইফুর রহমান, এবং ফকির বাজার স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট ফারুক আহমেদ। এ সময় বক্তব্য রাখেন অভিভাবক সদস্য মোঃ ওমর ফারুক ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন।কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যাপক ড. আব্দুল লতিফ, অধ্যাপক মোঃ মোশারফ হোসেন,সাবেক উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ কামাল হোসেন, সিনিয়র প্রভাষক মোঃ আতাউর রহমান, বিএনপি বাকশীমূল ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক পলাশ, সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা কায়েদ আহমেদ চৌধুরী।অনুষ্ঠানে সংগঠনের উপদেষ্টা মোঃ বিল্লাল হোসেন , সভাপতি মোঃ ইকবাল হোসেন চৌধুরী ও সহ-সভাপতি মোঃ আব্দুল ওহাব এর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন , বাকশীমুল ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ইন্জিনিয়ার মোঃ আবুল বাসার,সাবেক ছাত্রনেতা ফারুক আহমদ,কাশেদুল হক চৌধুরী। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ ও বাঁধন সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।