Spread the love

অপহরণ করে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা ছাত্রদল নেতার চোখ উপড়ে ফেলার অভিযোগে কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) আসনের সাবেক এমপি এম এ জাহেরসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করা হয়েছে।সোমবার (১৬ জুন) কুমিল্লা মহানগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক নেতা গোলাম কিবরিয়া এ অভিযোগ করেন। অন্য অভিযুক্তরা হলেন: ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আবু তৈয়ব অপি, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা যুবলীগ নেতা আবু সাঈদ বাপ্পি, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মো. এমরান হোসেন, মো. পাবেল, মো. মোখলেছ, মো. রুবেল, আব্দুল জব্বার, মিরাজুল হক রিমন, অপহরণে ব্যবহৃত গাড়ির চালক মো. শওকত, আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ, মেহেদী হাসান খাঁন, মঞ্জুরুল বারী নয়নসহ অজ্ঞাত আরও ২০-২৫ জন। কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মল্লিকার দীঘি গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হাকিম ও সালেখা বেগমের ছেলে গোলাম কিবরিয়া (২৭) বর্তমানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ব বিভাগে পড়াশোনা করছেন। খবর সময় নিউজের। চোখ উপড়ে ফেলায় সাবেক এমপির বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের ২০ আগস্ট রাতে ঢাকা থেকে ট্রেনে কুমিল্লা স্টেশনে নেমে নিজ বাসা কালিয়াজুরি যাওয়ার পথে রাত সোয়া ১টায় এমপি জাহেরের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে গোলাম কিবরিয়ার রিকশার গতিরোধ করেন। তাকে অপহরণ করে জাহেরের মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নেয়া হয়। এরপর অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে রড দিয়ে শরীর ও মাথায় এলোপাতাড়ি নির্যাতন করা হয়। একপর্যায়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আবু তৈয়ব অপি ছুরি দিয়ে গোলাম কিবরিয়ার চোখ দুটি উপড়ে ফেলেন। চোখ উপড়ে ফেলার আগে বৈদ্যুতিক শক দেয়া হয় গোলাম কিবরিয়াকে। চোখ উপড়ে ফেলার পর গোলাম কিবরিয়ার আর্তচিৎকার শুনে লোকজন এগিয়ে এলে আসামিরা চলে যান। কিছুক্ষণ পর পুলিশ গোলাম কিবরিয়াকে ওই অবস্থায় আটক দেখিয়ে ব্রাহ্মণপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে তাকে ঢাকার জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে রেফার করা হয়। এরপর গোলাম কিবরিয়াকে সেখান থেকে মিথ্যা মামলায় কোর্টে চালান দেয়া হয়। পরবর্তী সময়ে গোলাম কিবরিয়ার মায়ের কাছ থেকে আসামিদের যোগসাজশে পুলিশ খালি স্ট্যাম্প ও সাদা কাগজে সই নিয়ে রাখে যেন মামলা করতে না পারে। আসামিদের অত্যাচার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্যাতনের ভয়ের কারণে চেষ্টা করেও মামলা করতে পারেননি বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন সাবেক ছাত্রদল নেতা গোলাম কিবরিয়া। চিরতরে অন্ধ হয়ে যাওয়া কিবরিয়া কান্নজড়িত কণ্ঠে বলেন, চোখ আর কোনো দিন ফিরে পাব না। কোনো দিন পৃথিবীর আলো আর দেখতে পাব না। তবে যারা আজকে আমার এই অবস্থার জন্য দায়ী তাদের বিচার হলে নিজেকে সান্ত্বনা দিতে পারব। এ সময় তার সঙ্গে থাকা দুই ভাই ইয়াসিন আরাফাত ও মো. নেয়ামত রহমানও কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ বিষয়ে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ বলেন, গোলাম কিবরিয়া ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে একনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলো। ২০১৬ সালে তার উপর এই অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়।

By তালাশ বাংলা ডেস্ক

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ আক্কাস আল মাহমুদ হৃদয়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *