কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে স্ত্রী কর্তৃক পাঠানো ডিভোর্স লেটার দেখে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন আজিজুল হক রবিন (৩২) নামের এক যুবক। শনিবার (১৪ জুন) বিকেলে নিখোঁজ থাকার পর রবিবার সকালে বাড়ির পাশের একটি গাছে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত রবিন উপজেলার উজিরপুর ইউনিয়নের জগমোহনপুর গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ। পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় আট বছর আগে রবিন বিয়ে করেন পাশ্ববর্তী সদর দক্ষিণ উপজেলার তালপট্টি গ্রামের নাছিমা আক্তারকে। তাদের সংসারে ছয় বছর বয়সী এক কন্যা সন্তান রয়েছে। তবে বিয়ের পর থেকেই পরকীয়ার সন্দেহে দাম্পত্য কলহ লেগে থাকত। ছয় মাস আগে স্ত্রী বাবার বাড়িতে চলে যান এবং দুই মাস আগে স্বামীর ঠিকানায় একটি ডিভোর্স লেটার পাঠান। পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি রবিনের কাছ থেকে গোপন রাখলেও সম্প্রতি ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফেরার প্রস্তুতিকালে পরিচয়পত্র খুঁজতে গিয়ে হঠাৎ ডিভোর্স লেটারটি দেখতে পান রবিন। এরপর থেকেই তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন এবং নিখোঁজ হন। রোববার সকালে স্থানীয়রা বাড়ির পাশে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। নিহতের ছোট ভাই আশরাফুল ইসলাম শাওন বলেন, “দীর্ঘদিন ঝগড়া চলছিল। ভাবি চলে যাওয়ার পর আমরা বিষয়টি গোপন রাখি। কিন্তু হঠাৎ রবিন চিঠিটি দেখে মানসিকভাবে খুব ভেঙে পড়ে। পরে তার মরদেহ গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।” চৌদ্দগ্রাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তারেক উদ্দিন আকাশ জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। — প্রয়োজনে এই প্রতিবেদনের ছোট সংস্করণ বা শিরোনাম–উপশিরোনাম সহ রূপান্তর চাইলে জানাবেন।