গোলা বারুদের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে। ইরান-ইসরায়েলের সংঘাতের মধ্য দিয়ে যেন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব, এমনটাও বলছেন অনেকে। যত সময় গড়াচ্ছে, পরিস্থিতি ততটাই খারাপ হচ্ছে। পাল্টাপাল্টি হামলায় উদ্বেগ-উত্তেজনা বাড়ছে। মার্কির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফর ও ইরানের সাথে পারমাণবিক চুক্তির বোঝাপড়া চলাকালীন ইসরায়েল যেন মনে মনে এক বিরাট হামলা করার ছক কষে রেখে ছিল। পারমাণবিক ইস্যুতে ইরান যদি নমনীয় না হয় তবে ট্রাম্পের হুকুমের তোয়াক্কা না করে হলেও যেন ইসরায়েল হামলার জন্য বদ্ধ পরিকর ছিল। যে চিন্তা সেই কাজ। শুক্রবার ইসরায়েলের হামলার মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে যায় যুদ্ধ। ইসরায়েল ইরানের এই সংঘাতকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে বলেই অবহিত করেছেন সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ৫১ বছর বয়সী আপতি আলাদিনোভ। টেলিগ্রামের এক পোস্টে তিনি দাবি করেছেন, নতুন মোড় নেওয়ার পাশাপাশি যুদ্ধ ইতোমধ্যে একটি গতি পেয়েছে। যুদ্ধ ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। এটি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ। নতুন সেনা নিয়োগ দিয়ে রাশিয়াকেও যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আপতি আলাদিনোভ রাশিয়ার একজন প্রভাবশালী সামরিক কর্মকর্তা। ইরান ইসরায়েল সংঘাতে মধ্যে রাশিয়ার নিরাপত্তা তিনি গভীরভাবে চিন্তিত। তিনি জানান, রাশিয়ার অন্তত পাঁচ লাখ মানুষ আগেভাগে প্রস্তুত করতে হবে। তবে বাস্তবে তা হওয়া উচিত ১০ লাখ। টেলিগ্রামের পোস্ট তিনি ইসরায়েলসহ পশ্চিমা দেশগুলোর দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, যেভাবে তারা অন্যদের সঙ্গে খেলছে, এখন ইরানের সঙ্গে খেলছে, একইভাবে যেন আমাদের সঙ্গে এমনকিছু করার সাহস না পায়, সেজন্যও নতুন সেনা প্রস্তুত করতে হবে। পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে দীর্ঘদিন ধরেই এক টানাপড়োন চলছিল মধ্যে প্রাচ্যের দেশগুলোর সাথে। চাপ বিরাজ করছিল নানা ইস্যুতে। সে চাপ উদ্গিরণ হল গত কয়েকদিনে। ইরানে ইসরায়েলের ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ শুরু মধ্যে দিয়ে যুদ্ধ এখন করুন বাস্তবতায় রূপ নিয়েছে। ইসরায়েলে এই হামলার প্রতিবাদে বসে থাকেনি ইনার। শনিবার তারাও একের পর এক ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরায়েলে। দুই দেশের এমন হামলা পালটা ফলে বিশ্ববাজারে যার প্রভাব রীতিমতো বিরাজ করছে