Spread the love

কুমিল্লার তিতাসে বিষপানে বাকপ্রতিবন্ধী শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই দুই শিশুর বাকপ্রতিবন্ধী বাবা মনু মিয়াকে (৩৫) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার (৯ জুন) সকালে তিতাস উপজেলা জগতপুর ইউনিয়নের সাগরফনা তুলাতুলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত দুই শিশু হলো- মনিয়া আক্তার (৮) ও তানিয়া আক্তার (৫)। তারা মনু মিয়ার মেয়ে। মনু উপজেলার তুলাতলী গ্রামের মুকবুল হোসেনের ছেলে।পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মনু মিয়ার প্রাপ্ত বয়স হওয়ার পর পরিবার তার বিয়ে দেয়। বিয়ের পর তাদের ঘরে মনিয়া আক্তার ও তানিয়া আক্তার নামে দুটি কন্যাসন্তান জম্মগ্রহণ করে। তবে তারাও বাবার মতো বাকপ্রতিবন্ধী হয়ে জন্মগ্রহণ করে। মনু রাজমিস্ত্রির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। আজ সোমবার ভোরে দুই সন্তানকে বিষ খাইয়ে তিনি নিজেও বিষপান করে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। তার পরিবারের লোকজন টের পেয়ে তাদের তিনজনকে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার দুই সন্তান মনিয়া ও তানিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। তাদের বাবা মনু মিয়াকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুমিল্লা প্রেরণ করা হয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. খোকন মিয়া বলেন, ‘বাকপ্রতিবন্ধী মনু মিয়া রাজমিস্ত্রির কাজ করে কোনো মতে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তাদের ঘরে দুই কন্যা সন্তান বাকপ্রতিবন্ধী হয়ে জন্ম নেওয়ায় পাড়া-প্রতিবেশীর কাছে প্রায়শই তাকে নানা কটু কথা শুনতে হত। সে ক্ষোভ-অভিমানে দুই সন্তানকে বিষ খাইয়ে এবং নিজে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।’ তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর কর্মকর্তা ডাক্তার মো. সরফরাজ বলেন, ‘যারা কীটনাশক ওষুধ বিক্রি করেন তারা তা মেনে করা উচিত ছিল। স্থানীয় ইউপি সদস্য অথবা যাদের সার্টিফাই ছারা এ কীটনাশক ঔষধ বিক্রি না করলে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটত না।’তিতাস থানার ওসি মো. শহীদুল্লাহ্ বলেন, ‘শিশু দুটির লাশ হাসপাতাল থেকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের বাবা মনু মিয়াকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

By তালাশ বাংলা ডেস্ক

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ আক্কাস আল মাহমুদ হৃদয়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *