কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় সাপের কামড়ে মো. নাছির উদ্দিন (৪০) নামে এক ডুবাই প্রবাসীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার জগতপুর ইউনিয়নের সাগরফেনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নাছির একই গ্রামের জারু মিয়ার ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শী ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রোববার দুপুরে নিজ বাড়িতে কাজ করার সময় হঠাৎ সাপে কামড়ায় নাছিরকে। তিনি ব্যথায় ছটফট করতে থাকলে আশপাশের লোকজন দ্রুত ছুটে আসেন। এরপর স্বজনরা তাকে পার্শ্ববর্তী হোমনা উপজেলার এক ওঝা কবিরাজের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ঝাড়ফুঁক করা হলেও অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি, বরং তার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটতে থাকে। তিনি বমি করতে থাকেন এবং দুর্বল হয়ে পড়েন। এ সময় তার স্ত্রী বারবার হাসপাতালে নেওয়ার অনুরোধ করলেও পরিবারের অন্য সদস্যরা রাজি হচ্ছিল না। অবশেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে প্রবাসীর স্ত্রী জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করেন। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে নাছিরকে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তবে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মোস্তফা জামান আশিক জানান, হাসপাতালে আনার আগেই নাছিরের মৃত্যু হয়। চিকিৎসক বলেন, “আমরা রোগীকে এন্টিভেনম দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আগেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। যদি তাকে প্রথমে হাসপাতালে আনা হতো, তাহলে হয়তো বাঁচানো সম্ভব হতো।” তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহীদ উল্যাহ জানান, “৯৯৯ ফোন পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে রোগীকে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করে। পরে রাত ১২টার দিকে জানতে পারি, তিনি মারা গেছেন। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা।” স্থানীয়দের মতে, সাপে কাটা রোগীর ক্ষেত্রে এখনো ও ঝাড়ফুঁকের ওপর নির্ভর করার ফলে অনেক জীবন অকালে ঝরে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, সাপে কামড়ালেই দ্রুত হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়াই সবচেয়ে নিরাপদ ও কার্যকর উপায়।