পিতাকে কুপিয়ে হত্যা করে ভিডিও ধারণ;৯৯৯-এ কল দিয়ে মেয়ের আত্মসমর্পণ

ঢাকা সাভারের মজিদপুর কাঠালবাগান এলাকায় বাবাকে কুপিয়ে হত্যার পর জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল দিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন মেয়ে জান্নাত। বৃহস্পতিবার ভোররাতে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। সাভার মডেল থানার ডিউটি অফিসার আব্দুর রশিদ জানান, ভোর ৪টার দিকে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে এক তরুণী জানান, তিনি তার বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন এবং পুলিশকে এসে তাকে গ্রেপ্তার করতে বলেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আব্দুস সাত্তারের (৫৬) লাশ উদ্ধার করে এবং মেয়ে জান্নাতকে আটক করে। নিহত আব্দুস সাত্তার নাটোর জেলার সিংড়া থানার ভগা গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশ জানায়, তিনি ও তার মেয়ে জান্নাত গত পাঁচ মাস ধরে সাভারের মজিদপুর কাঠালবাগান এলাকায় আব্দুল কাদেরের বাড়ির ৫ম তলায় ভাড়া থাকতেন। ঘাতক মেয়ে জান্নাত জানান, ২০২২ সালে তিনি তার বাবার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে সিংড়া থানায় মামলা করেছিলেন। সেই মামলায় সাত্তার দীর্ঘদিন কারাভোগের পর সম্প্রতি মুক্তি পান এবং মেয়ের সঙ্গে মীমাংসা করে পুনরায় একত্রে বসবাস শুরু করেন। কিন্তু মুক্তির পর ফের মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ জান্নাতের। জান্নাত আরও বলেন, বুধবার রাতে বাবার খাবারে ২০টি ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেন। আব্দুস সাত্তার ঘুমিয়ে পড়লে ভোরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাকে হত্যা করেন। এরপর ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে সব কিছু জানান। বাড়ির কেয়ারটেকার রহিজ উদ্দিন বলেন, পাঁচ মাস আগে তারা এই বাড়িতে ভাড়া ওঠেন এবং তখন থেকেই বাবা-মেয়ের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক ছিল না। সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক ইমরান হোসেন জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। থানার ওসি জুয়েল মিয়া বলেন, পিতার বিরুদ্ধে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। এই ঘটনার জের ধরেই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। আটক জান্নাতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।