ওমানের দুকুম সিদরা এলাকায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার আটজন বাংলাদেশি প্রবাসী নিহত হয়েছেন। বুধবার (৮ অক্টোবর) স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে রাজধানী মাসকাট থেকে প্রায় ৬৫০ কিলোমিটার দূরে দুকুম সিদরা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ওমানে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) আসাদুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মাছ ধরার উদ্দেশ্যে ৯ জন বাংলাদেশি শ্রমিককে নিয়ে একটি মাইক্রোবাস দুকুম সিদরার দিকে যাচ্ছিল। পথে একটি বড় ফিশিং কন্টেইনার ট্রাকের সঙ্গে মাইক্রোবাসটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ এতটাই ভয়াবহ ছিল যে ঘটনাস্থলেই আটজন বাংলাদেশি শ্রমিক মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় চালককে দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত আটজন বাংলাদেশি হলেন আলী আকবার সেরাংয়ের ছেলে মোহাম্মদ আমিন সওদাগর, শহীদ উল্লার ছেলে আরজু,ইব্রাহিম মিস্ত্রির ছেলে মোহাম্মদ রকি,মনু মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ বাবলু,সিদ্দিক আহমেদের ছেলে সাহাব উদ্দিন,মাইটভাঙার জামাল উদ্দিনের ছেলে জুয়েল,রহমতপুরের মো. রনি,রাউজানের আলাউদ্দিন এদের সবাই চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাসিন্দা। নিহতদের মধ্যে সাতজনই সারিকাইত ইউনিয়নের তরুণ শ্রমিক ছিলেন।গ্রামে শোকের ছায়া সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মংচিংনু মারমা জানান, একই এলাকার একাধিক পরিবারের সদস্য নিহত হওয়ায় সারিকাইতে নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। সারিকাইত ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তাছলিমা বেগম বলেন, “একই ইউনিয়নের পাঁচ তরুণের মৃত্যুতে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতদের বাড়িতে চলছে আহাজারি। দুর্ঘটনার পরপরই ওমানে বাংলাদেশ দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। নিহতদের মরদেহ স্থানীয় হাসপাতালে রাখা হয়েছে। দূতাবাস জানিয়েছে, আইনি ও আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শেষে দ্রুত মরদেহগুলো দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দূতাবাস নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছে এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে। এদিকে ওমানের দুখুম পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার সঠিক কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত গতি ও দৃশ্যমানতার অভাবের কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
