Spread the love

কুমিল্লা-৫(বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়া) সংসদীয় আসন থেকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (স্বতন্ত্র পদে) অংশগ্রহণের ঘোষণা দিয়ে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার অধিবাসী ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরী তালাশ বাংলাকে বলেন, আমি আ’লীগ সরকারের আমলে সংসদ সদস্য হিসেবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি,উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করেছি কিন্তু বিজয়ী হওয়ার পরও আমাকে ভোট কারচুপি করে হারানো হয়েছে।তাই এবার অন্তবর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন হচ্ছে, আশা করি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে,আর সেই আস্থা থেকেই আমি জনগণকে সেবা দেওয়ার উদ্দেশ্যেই আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। তিনি আরও জানান,রাজনীতির প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে জনকল্যাণে কাজ করা। জনপ্রতিনিধি হলে এক্ষেত্রে কাজ করার সুযোগ বেশি থাকে। নেতার মত শাসন নয় বরং মানুষের পাশে দাঁড়াতে এসেছি।

ব্যারিস্টার সোহরাব বলেন, এই বুড়িচং- ব্রাহ্মণপাড়ার মানুষ সহজ সরল। তারা ভেজালমুক্ত এবং ক্লিন ইমেজের জনপ্রতিনিধি চায়। মূলত তাদের অনুপ্রেরণাতেই আমি নির্বাচনের মাঠে এসেছি এবং শেষ পর্যন্ত থাকবো ইনশাআল্লাহ।

শুক্রবার (২৭ জুন) ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ধান্যদৌল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে পবিত্র জুম্মার নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে উপস্থিত মুসল্লী ও এলাকার লোকজনের দোয়া কামনা করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে গণসংযোগ কালে এসব কথা বলেন ২০০৭ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থী ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরী। পরবর্তীতে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের আমলে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে।তখন আ’লীগের এমপি (কুমিল্লা-৫) আবু জাহের স্থানীয় প্রশাসনকে বায়েস্ট করে প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার দিয়ে নির্লজ্জভাবে ও কুমিল্লা শহরের সন্ত্রাসীদের এলাকায় এনে জোড়পূর্বক কেন্দ্র দখল করে সীল মেরে আমার আনারস প্রতীকের নিশ্চিত বিজয় ছিনিয়ে নেয়।জনগণ আমাকে ভোট দেয় কিন্তু ষড়যন্ত্র করে আমাকে হারানো হয়। এবার অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি আস্তা রাখি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। আর সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমি বিজয় নিশ্চিত। এ সময় তিনি ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় গণসংযোগ ও তার নির্বাচনী ইশতেহারের লিফলেট বিতরণ করেন। গণসংযোগ কালে স্থানীয় জনগণ ও ভোটাররা তার প্রতি ব্যাপক সমর্থন দিতে দেখা যায়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তার আপন ভাই ব্রাহ্মণপাড়ার মোশারফ হোসেন খান চৌধুরী কলেজ সহ অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা আমেরিকা প্রবাসী মোশারফ হোসেন খান চৌধুরী সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। উল্লেখ্য,ভারত-সীমান্তবর্তী এই জেলার ১১টি সংসদীয় আসনের একটি কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া)। স্বাধীনতার আগ থেকেই এই আসনটি আওয়ামী লীগের প্রভাব বিস্তার ছিলো। স্বাধীনতা-পরবর্তী ১১টি জাতীয় নির্বাচন ও একটি উপ-নির্বাচনসহ মোট ১২টি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ছয়বার আর বিএনপি দুইবার বিজয়ী হয়েছে আসনটিতে।কুমিল্লা-৫ আসন ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। তার মধ্যে বুড়িচং উপজেলায় পড়েছে নয়টি। আর ব্রাহ্মণপাড়ায় আটটি। আসনটিতে মোট ভোটার প্রায় ৫ লক্ষাধিক।অনুসন্ধানে জানা যায়, এই আসন থেকে সাবেক আইনমন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরু আ’লীগের দলের মনোনয়নে মোট পাঁচ বার নির্বাচিত ছিলেন (১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০৯, ২০১৪ ও ২০১৮)। ২০০১ সালে বিএনপি থেকে নির্বাচিতসহ ৪-বারের সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন অধ্যাপক মো. ইউনুস। এবার বিএনপিতে মনোনয়ন চাইবেন ২০০৮ সালের প্রার্থী কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি এসএম আলাউদ্দিন ভূঁইয়া, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন,কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য ও বুড়িচং উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এটিএম মিজানুর রহমান ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাজী জসিম উদ্দিন।বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দলের একমাত্র মানোনীত প্রার্থী ইসলামী ছাত্রশিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট ড. মোবারক হোসেন,এছাড়াও গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে এ আসনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সাংবাদিক শওকত মাহমুদ।স্থানীয়রা জানায় এ আসনে এমপি প্রার্থী বিএনপিতে ৪জন , জামায়াতে ১ জন,স্বতন্ত্র ১ জন;জাতীয় নাগরিক পার্টি(এনসিপি) ও এবি পার্টি সহ খবর নেই অন্য দলের)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *