কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার কোদালিয়া ইকরা আদর্শ শিশু নিকেতনে রাতের আঁধারে নথিপত্রসহ প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুড়িচং উপজেলার বাকশীমূল ইউনিয়নের কোদালিয়া গ্রামে অবস্থিত মরহুম নূরুল ইসলাম (আব্দুল হক) চেয়ারম্যান প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। বুধবার (২৫ জুন) দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে দুর্বৃত্তরা প্রতিষ্ঠানটির অফিস কক্ষ ও শ্রেণিকক্ষের তালা ভেঙে প্রয়োজনীয় নথিপত্র, আসবাবপত্র, ৯টি সিলিং ফ্যান, ডিনার সেট, ফ্রিজ, নগদ টাকা সহ আনুমানিক ৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সন্ধ্যায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানজুড়ে চরম বিশৃঙ্খলা ও আতঙ্কের পরিবেশ বিরাজ করছে।
প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মো. দুলাল হোসেন মাস্টার তালাশ বাংলাকে জানান, ১৯৯৭ সালে সীমান্তবর্তী এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে মরহুম নূরুল ইসলাম চেয়ারম্যান কোদালিয়া ইকরা আদর্শ শিশু নিকেতন প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে ১৬ জন শিক্ষক কর্মরত আছেন এবং শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ২০০-এর অধিক শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত।
তিনি আরও জানান, বিদ্যালয়টি উপজেলার মধ্যে আদর্শ প্রতিষ্ঠান হিসেবে সুনাম অর্জন করেছে। এই সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে কিছু কু-চক্রী মহল প্রতিহিংসাবশত এমন অমানবিক ঘটনা ঘটাতে পারে বলে তিনি মনে করেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষক শামসুজ্জামান সায়েম ও গোলাম জিলানী জীবন জানান, প্রতিদিনের মতো বুধবার সন্ধ্যায় ক্লাস শেষে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়ি ফেরেন। পরদিন সকালে এসে দেখেন তালা ভাঙা, সবকিছু তছনছ করা এবং অফিস কক্ষে মানববর্জ্য ফেলে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দা মো. কাইয়ুম খান, প্রাক্তন শিক্ষার্থী ইঞ্জিনিয়ার রায়হান, তানজিবুর রহমান সাবিদ, সাফায়ত, এবং বর্তমান শিক্ষার্থী আব্দুল আল ওসমান, মিনহাজ আপন, আল মাহমুদ তনয়সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের শনাক্ত করে আইনানুগ শাস্তির দাবি জানান। বুড়িচং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আজিজুল হক তালাশ বাংলাকে জানান,ঘটনার খবর পেয়েই আমরা ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি শুধুমাত্র চুরির ঘটনা নয়, বরং পূর্বপরিকল্পিত প্রতিহিংসার ফল হতে পারে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।