মুসল্লিরা মসজিদের ভিতর ও বারান্দায় সারিবদ্ধভাবে বসে আছেন। একসঙ্গে ইফতারে বসার ক্ষেত্রে ধনী-গরিবে নেই কোনো ভেদাভেদ। পুরো রমজান মাসজুড়েই ইফতারের সময় নিত্যদিনের চিত্র এটি। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ এসে গণ-ইফতারে অংশ নিতেন। এখানে ইফতার করতে আসা লোকজনের মধ্যে সমাজের নিন্মবিত্ত মানুষ থেকে শুরু করে সমাজের উঁচুস্তরের মানুষরাও রয়েছেন। সড়কের পাশে অবস্থিত এই দুই মসজিদে ফকির, মিসকিন, হতদরিদ্ররা যেমন আসেন, অনেক বিত্তবানরাও আসেন সাওয়াবের আশায়। এতো মানুষের সঙ্গে একত্রে ইফতারে অংশ নিতে পারা অনেকেই ভাগ্য মনে করেন। বলছিলাম ‘কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বাকশীমূল ইউনিয়নের পিতাম্বর মধ্যপাড়া জামে মসজিদ ও পিতাম্বর ঈদগাহ জামে মসজিদের কথা। এই দুই মসজিদে পুরো রমজান মাসজুড়ে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ইফতারে অংশ নেন ও নামাজ আদায় করে করেন। (২৭ মার্চ ২০২৫) বৃহস্পতিবার বিকেলে এমন দৃশ্য দেখেন প্রতিনিধিরা।
এসময় ইফতার মাহফিলের দায়িত্বরত ও আয়োজক প্রতিনিধি নাজমুল হাসান তালাশ বাংলাকে জানায়,তার ভাই মোঃ মামুনুর রশীদ সৌদি আরবে থাকেন। তার কফিল সৌদি নাগরিক শেখ আলী আল আমরী ও শেখ আবু জাফর আল শেহেরী এর আর্থিক সহযোগীতায় প্রায় ১০ বছর ধরে রমজান মাসজুড়ে একই নিয়মে আল্লাহ সন্তুষ্টির লক্ষ্যে পিতাম্বর মধ্যপাড়া জামে মসজিদ ও পিতাম্বর ঈদগাহ জামে মসজিদের মুসল্লি ও রোজাদারের জন্য ইফতারের আয়োজন করে থাকেন।
ধনী-গরিবের বৈষম্যহীন ইফতারে অংশগ্রহণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। সেখানে সৃষ্টি হয় সাম্য ও ভ্রাতৃত্বের এক অনন্য পরিবেশ।এই বছর দুই মসজিদে রমজানে প্রায় ১১ হাজার মানুষ ইফতার করেছেন। এতে এলাকাবাসী খুব আনন্দিত। পিতাম্বর মধ্যপাড়া জামে মসজিদের খতিব মাও. দেলোয়ার হোসেন বলেন,প্রতিদিন আসরের নামাজের পর থেকেই সারিবদ্ধভাবে রোজাদাররা সুশৃঙ্খলভাবে বসে পড়েন ইফতারের জন্য। আর মাইকে পেশ করা হয় ইসলামী মাসআলা-মাসায়েল সম্পর্কিত ওয়াজ। ইফতারের পূর্বে সমবেত রোজাদারের সম্মিলিত মুনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। নিয়মিত ইফতার আয়োজনে দায়িত্বে সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন নাজমুল হাসান, হাজী মো : শাহ আলম, মো: শাহীন আলম, মো: আব্দুল হান্নানসহ স্বেচ্ছাসেবকরা।