কুমিল্লার মহানগরীর রেইস কোর্স এলাকায় মঙ্গলবার ১৬ জুলাই এক ছিনতাইকারী ধরে গনদূলাই দেয় স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি এম ফিরোজ আহমেদ ছিনতাই কারীকে উদ্ধার করে থানা নিয়ে যায়। রূপালী রানী নামের ভুক্তভোগী মহিলা জানান তিনি বিগত ৪ (মার্চ) মাস আগে কুমিল্লা মহানগরীর কান্দির পাড় থেকে সিএনজি যোগে রেইস কোর্সে ফেরার পথে ওই সিএনজিতে দুই জন লোক উঠে তাকে বিমোহিত করে ফেলে ( চেতনা নাশক দিয়ে)। রূপালী রানী আরও জানান তিনি রেইস কোর্স স্কয়ার হাসপাতালে চাকুরী করেন। তাকে ওই সময় লোক দুটি কৌশলে বিমোহিত করে সিএনজি থেকে নামিয়ে মুন হসপিটালের পেছনের ৫ তলা বিল্ডিংয়ে লোভ দেখিয়ে উঠায়। উঠিয়ে ওই ছিনতাই কারীদের কথা মত তিনি বসেন এবং তারা রূপালী রানীর নাক কান গলার স্বর্ণালংকার একে একে খুলে নিয়ে পুনরায় ওনাকে মুন হসপিটালের সামনে নামিয়ে দিয়ে সটকে, (ফালিয়ে যায়)।ছিনতাই কারী চলে যাওয়ার অনেক ক্ষণ পর তার চেতনা ফিরলে তিনি কান্না কাটি শুরু করেন। এরপর তিনি সিসি ক্যামেরা থেকে ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে মোবাইলে ধারন করে রাখেন। ওই সমস্ত স্বর্ণালংকার প্রায ৭৫-৮০ হাজার টাকা মূল্য হবে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ২ টায় রূপালী রানী ও তার স্বামী সুশান্ত চক্রবর্তী রেইস কোর্স পুরাতন পাসপোর্ট গলির সামনে হেটে স্কয়ার হাসপাতাল থেকে বের হয়ে দেখেন ওই দুই জনের একজন ছিনতাই কারীকে চিনে ফেলে। তখন স্থানীয় লোকজন নিয়ে তাকে আটক করলে সে স্বীকার করে। তখন স্থানীয় লোকজন তাকে গণ ধুলাই দেয়। পরে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি এম ফিরোজ আহমেদ ছিনতাই কারীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। আটক ছিনতাই কারী হল পটুয়াখালী জেলা গলাচিপা উপজেলার আমখলা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ তারিকুল ইসলাম (৪০)। তিনি আরও জানান এঘটনায় কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় মঙ্গলবার রাতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।