কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় শিক্ষার্থী আবু বকরকে হত্যাচেষ্টার মামলায় নারী ইউপি সদস্য মোসা. ইয়াসমিন আক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি রাজামেহার ইউনিয়নের বেতরা গ্রামের মো. খোরশেদ আলমের মেয়ে এবং ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য। মঙ্গলবার (২৭ মে) সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদ মসজিদের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ছামছুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, মামলায় গ্রেপ্তার এড়াতে ইয়াসমিন আক্তার বোরকা পরে উপজেলা পরিষদ, ইউএনও অফিস ও এলজিআরডিই অফিসে নিয়মিত যাতায়াত করতেন এবং বিভিন্ন কাজের তদবির করতেন। গ্রেপ্তারের দিনও তাকে বিভিন্ন দপ্তরে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে। ঘটনার পটভূমি: ২০২৩ সালের ৪ আগস্ট, দেবিদ্বার এসএ সরকারি কলেজ রোডে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে এসএসসি পরীক্ষার্থী আবু বকরকে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা পিটিয়ে ও রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এরপর টানা ৯ মাস তিনি কুমিল্লা ট্রমা সেন্টার ও ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। এ ঘটনায় গত ৫ সেপ্টেম্বর আবু বকরের বাবা মো. আবুল খায়ের কুমিল্লা আদালতে সাবেক এমপি মো. আবুল কালাম আজাদ ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করেন। মোসা. ইয়াসমিন আক্তার মামলার এজহারভুক্ত আসামি। ওসি ইলিয়াছ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আবু বকর হত্যাচেষ্টা ছাড়াও একাধিক মামলা রয়েছে। হামলার ঘটনায় তার সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ হিসেবে একাধিক ভিডিও ও স্থিরচিত্র পাওয়া গেছে। গ্রেপ্তারের পর বুধবার তাকে আদালতে হাজির করে জেলহাজতে পাঠানো হবে।