৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর কুমিল্লা নগরীতে আনন্দ মিছিলে সহিংসতা হয়। এ সময় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি কাইমূল হক রিংকু, তার দুই ছেলে এবং অ্যাডভোকেট কালামসহ কয়েকজন আইনজীবী হামলার শিকার হন। নগরীর ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ রায়হানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ও ককটেল ছোড়ে। অ্যাডভোকেট কালাম কোমরে গুলিবিদ্ধ হন এবং পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। রিংকু ও তার দুই ছেলেসহ আরও ৬-৭ জন আইনজীবী আহত হন। মো: মোস্তফা জামান জসিম নামে একজন বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলার আসামিরা হলেন : ১) সৈয়দ রায়হান আহম্মেদ (৪২), পিতা: মৃত সৈয়দ আহম্মেদ ফটু, স্থায়ী গ্রাম-মোগলটুলী (কুমিল্লা হাই স্কুলের পিছনে), উপজেলা/থানা: কুমিল্লা কোতয়ালী ,জেলা: কুমিল্লা, ২) কালা বাচ্চু (৪৩), পিতা: মৃত মালা মিয়া ভান্ডারী, স্থায়ী সাং-লালাপুকরের পূর্ব গলি, উপজেলা/থানা: কুমিল্লা কোতয়ালী, জেলা: কুমিল্লা, ৩) রাজীব (৩৮) পিতা: মৃত এসডি মুরাদ, স্থায়ী সাং- মোগলটুলী, উপজেলা/থানা: কুমিল্লা কোতয়ালী, জেলা: কুমিল্লা, বাংলাদেশ, ৪) মোঃ সুমন প্রঃ লারকী সুমন (৩৫), পিতাঃ মৃত সহিদ মিয়া, স্থায়ী সাং-মোগলটুলী, উপজেলা/থানা: কুমিল্লা কোতয়ালী, জেলা: কুমিল্লা, ৫) রকি, পিতা: নান্নু মিয়া, স্থায়ী সাং-মদনপট্টি, উপজেলা/থানা: কুমিল্লা কোতয়ালী, জেলা: কুমিল্লা, ৬) মোঃ লিয়াকত আলী (৬৫), পিতা: মোঃ তৈয়ব আলী, ৭) মোঃ তৌহিদুল ইসলাম (৩২), পিতাঃ মোঃ লিয়াকত আলী, ৮) মইনুল ইসলাম (২৭), পিতা: মোঃ লিয়াকত আলী, স্থায়ী সর্ব সাং-পশ্চিম চাঁনপুর, উপজেলা/থানা: কুমিল্লা কোতয়ালী, জেলা: কুমিল্লা। অজ্ঞাতনামা-২০/২৫ জন।