কুমিল্লার গোমতী নদী থেকে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলনে বাঁধা দেয়ায় হামলা করে ৩ জনকে আহত করার ঘটনায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ১৫ থেকে ১৬ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। কুমিল্লা নগরীর বাদুরতলা এলাকার প্রান্তিক মোদক নামে এক ছাত্র কোতোয়ালি থানায় এই মামলা দায়ের করেন। মামলার বিবরণে জানা যায়,দীর্ঘদিন ধরে গোমতী নদীর কুমিল্লার অংশে রাতের আঁধারে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অবৈধভাবে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। অবৈধ এই মাটি কাটার ফলে সম্প্রতি সময়ে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার সম্মুখীন হতে হয় গোমতি পাড়ের লোকজনকে, এছাড়াও গোমতির চড়ে উৎপাদিত ফসলি জমি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিক অভিযানের পরও গোপনে এই চক্রটি তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মিডিয়া সংবাদ প্রকাশিত হলেও চক্রটি তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন। এ বিষয়ে ছাত্র-জনতা একাধিকবার অবৈধ মাটিকাটা বন্ধ করতে বলার পরও তারা কোন কর্ণপাত করে নি। বাধ্য হয়ে গত ৫ এপ্রিল রাত ১১:৩০ টায় একদল ছাত্র-জনতা কুমিল্লার দুর্গাপুর উত্তর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গোমতির পাড় এলাকায় উপস্থিত হয়ে নদীর মাটি কাটায় বাধা দেয়।অভিযুক্ত ব্যক্তিরা এ সময় আড়াইওরা এলাকার হান্নান মেম্বার, রাশেদ, সাইফুল, ভুবনঘর এলাকার রুবেল, আমতলি এলাকার হালিম, দুর্গাপুর এলাকার হোসেন মেম্বার, দিঘীরপাড় এলাকার লিটন, জুয়েল, মিজান, কামারখাড়া এলাকার জসিম, কাবিলা সৈয়দপুর এলাকার আলমগীর, দিঘিরপার এলাকার এয়াকুব, আমতলী এলাকার পিচ্চি মনির, চানপুর এলাকার মোস্তফা, শাজাহান, ভুবনঘর এলাকার কাজল, আড়াইওরা বড়পুকুরপাড় এলাকার সবুজসহ ১৫ থেকে ১৬ জনের একটি দল ছাত্র-জনতার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা এ সময় দা-ছেনি, বেলচা, লোহার রড, লাঠি নিয়ে ছাত্র-জনতার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এ সময় তাদের হামলায় মামলার বাদী প্রান্তিক মোদক, তাসলিম, রানাসহ ৪-৫ জন আহত হয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় এবং আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় ৭ এপ্রিল প্রান্তিক মোদক বাদী হয়ে অভিযুক্তদের নামে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ বিষয়ে কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।