প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা যেনতেনভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য না, আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করেছি। এখন মানুষের আর্থিক সচ্ছলতা এসেছে। দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনটাই আমাদের লক্ষ্য। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। এখন স্যান্ডেল বগলে নিয়ে হাঁটতে হয় না।’
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জার্মানির মিউনিখে প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে নাগরিক সংবর্ধনায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘পঁচাত্তর-পরবর্তী এবার সবচেয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। রাজনৈতিক দল সংগঠিত না থাকলে দুর্যোগ মোকাবিলা করা কঠিন। মানুষের পাশে থেকে আওয়ামী লীগ জনগণের আস্থা অর্জন করতে পেরেছে।’
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘নিজেরা সংগঠিত হতে না পেরে বিএনপি জনগণ ও আওয়ামী লীগকে দোষ দিয়ে যাচ্ছে। জনগণের ভোটের অধিকার জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ।’
তিনি বলেন, ‘যারা জ্বালাও পোড়াও করবে, তাদের মানুষ কেন ভোট দিবে। ভোট পাবে না জেনেই বিএনপি নির্বাচনে আসেনি। এখন নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলে। নির্বাচনে না এসে এখন হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। কিছু খুচরা পার্টি আছে, তারা লাফায়। দেশে কিছু রাজনৈতিক দল আছে, একজনের কথায় যারা তিড়িং বিড়িং করে লাফায়, কিন্তু কিছু করতে পারে না। নিজেরা সংগঠন করতে না পেরে আওয়ামী লীগ ও জনগণকে দোষ দিয়ে লাভ নাই।’
উন্নয়ন কর্মসূচি নেয়ার সময় লক্ষ্য রাখা হয় যেন পরিবেশ নষ্ট না হয়। দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রবাসীদের বিনিয়োগের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরপর দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের অগ্রযাত্রা যেন ব্যাহত না হয়। মানুষের ভাগ্য নিয়ে কেউ যেন ষড়যন্ত্র করতে না পারে। বিদেশে থেকে দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করার জন্য নিজেদের তৈরি করতে হবে। কেউ যেন দেশকে পেছনে নিতে না পারে।’
