ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বসতঘর পুড়ে ছাই হওয়ার পাশাপাশি এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। তবে আগুনের লেলিহান শিখার মাঝেও পবিত্র কোরআন শরীফ অক্ষত থাকার এক ‘অলৌকিক’ ঘটনা ঘটেছে, যা এখন এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
গত ২০ ডিসেম্বর (শনিবার) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের বাড়াইল দাস পাড়ার ফল ব্যবসায়ী হালিম মিয়ার বাড়িতে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে এবং মুহূর্তের মধ্যে তা পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে স্থানীয়রা প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আগুনের সময় ঘরে ঘুমিয়ে ছিল হালিম মিয়ার ৩ বছর বয়সী নাতনি সাইফাতুল মুনতাহা আয়াত। গুরুতর অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতালে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ তার মৃত্যু হয়।
অগ্নিকাণ্ডে ঘরটি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে গেছে। এতে ঘরে থাকা নগদ ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে ঘরের সবকিছু পুড়ে কয়লা হয়ে গেলেও অলৌকিকভাবে রক্ষা পেয়েছে ঘরে থাকা দুটি পবিত্র কোরআন শরীফ। দেখা গেছে, কোরআন শরীফের চারদিকের সামান্য অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ভেতরের প্রতিটি অক্ষর ও পাতা একদম পরিষ্কার এবং অক্ষত রয়েছে।
এই খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় উৎসুক জনতা হালিম মিয়ার বাড়িতে ভিড় জমান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও কোরআন শরীফ অক্ষত থাকার ছবি ও ভিডিও দ্রুত ভাইরাল হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা বিষয়টিকে ‘আল্লাহর কুদরত’ হিসেবে অভিহিত করে গভীর বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
বর্তমানে এলাকায় শোকের পাশাপাশি এই অলৌকিক ঘটনা নিয়ে আলোচনা বিরাজ করছে।
