ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি সাদিক কায়েম ও জিএস এসএম ফরহাদ চ্যানেল এস টেলিভিশনের নিহত সাংবাদিক তরিকুল ইসলাম শিবলীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন। গত ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচনের দিন সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেন চ্যানেল এস টেলিভিশনের সাংবাদিক তরিকুল ইসলাম শিবলী। মৃত্যুকালে তিনি রেখে গেছেন স্ত্রী, চার বছর বয়সী ছেলে আয়াত ও দেড় বছরের মেয়ে আজমীনকে। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার তথ্য জানিয়ে ডাকসুর জিএস ফরহাদ তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘চার বছরের ছোট্ট আয়াত আমাকে বলেছে— আমার বাবাকে আল্লাহ নিয়ে গেছেন এবং সুন্দর জায়গায় রেখেছেন। যেহেতু বাবা আসবেন না, তাই আমি মা ও ছোট বোন আজমীনের খোঁজখবর রাখবো, আদর করবো। অবুঝ শিশুর মুখে এমন ভারি কথা আমাদের সবাইকে গভীরভাবে নাড়া দিয়েছে।’ তিনি জানান, পরিবারের সঙ্গে প্রাথমিক সাক্ষাতে নিহত সাংবাদিকের দুই সন্তানের খরচের জন্য ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে আপাতত দুই লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সবসময় শিবলী পরিবারের পাশে থাকার অঙ্গীকারও করেছেন তিনি। ফরহাদ বলেন, ‘বাবা হারানো ছোট্ট শিশুদের জন্য সবার কাছে দোয়া কামনা করছি।’উল্লেখ্য, গত ৯ সেপ্টেম্বর বেলা দেড়টার দিকে কার্জন হল এলাকায় লাইভ চলাকালে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন সাংবাদিক তরিকুল শিবলী। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯ টায় গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার এতবারপুর গ্রামে শত শত মানুষের উপস্থিতে তৃতীয় জানাজা শেষে নিহত শিবলীর দাফন-কাফন সম্পন্ন হয়। তার পিতার নাম একে এম শহিদুল্লাহ। সে ছিলো পিতার একমাত্র সন্তান। চাকুরির সুবাদে তিনি দীর্ঘদিন স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তান নিয়ে টঙ্গীতে বসবাস করতেন।
