কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের লড়িবাগ উত্তরপাড়ায় চাঁদা না দেওয়ায় এক দোকানে ঢুকে মারধর, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় জনতা এক চাঁদাবাজকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। বাকিরা পালিয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৬ সেপ্টেম্বর, দুপুর আনুমানিক ২টার দিকে। ভুক্তভোগী দোকানদার নাঈমুল রহমান বাছির, স্থানীয় মোঃ মোস্তফা কামালের ছেলে। তার বাবা বুড়িচং থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, একই এলাকার মোঃ মেহেদী হাসান (৩০), পিতা মোঃ জাকির হোসেন (উরফে শাহ আলম), মোঃ রাকিব মিয়া (২৪), পিতা মোঃ সহিদ মিয়া, মোঃ রাব্বি হাসান (২২), পিতা মোঃ নায়েব আলী এবং আরও ৪-৫ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি পূর্ব শত্রুতার জেরে দোকানে প্রবেশ করে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে, অভিযুক্তরা লাঠিসোটা দিয়ে নাঈমুলকে এলোপাতাড়ি মারধর করে, দোকানের মালামাল ভাঙচুর করে প্রায় ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে। এছাড়া ক্যাশবাক্স থেকে নগদ ৩ হাজার টাকা এবং চারটি চুল কাটার ট্রিমার মেশিন (মূল্য আনুমানিক ৬ হাজার টাকা) ছিনিয়ে নেয়। স্থানীয়রা জানান, ঘটনার সময় মেহেদী, রাকিবসহ আরও কয়েকজন দোকানে ঢুকে হামলা চালায়। পরে স্থানীয় জনতা রাকিব মিয়াকে ধরে ফেলে গণপিটুনি দিয়ে আহত অবস্থায় বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। চাঁদাবাজ মেহেদী ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তরা এর আগেও এলাকার বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে চাঁদা আদায় করেছে। যেমন, এলাকার জিহাদের কাছ থেকে বিকাশে ১২ হাজার টাকা, রাকিবের কাছ থেকে ২৭ হাজার টাকা এবং রিফাতের কাছ থেকে ৭০০ টাকা আদায় করেছে। দোকানদারকে হুমকি দিয়ে বলা হয়, চাঁদা না দিলে তাকে দোকান চালাতে দেওয়া হবে না এবং বিষয়টি প্রকাশ করলে বা আইনের আশ্রয় নিলে প্রাণনাশ করা হবে। এ বিষয়ে বুড়িচং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিজুল হক জানান, ভুক্তভোগী পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
