বগুড়া সারিয়াকান্দিতে অনৈতিক কাজে ধরা পড়ায় নূরজাহান বেগম (২৮) নামে একজন গৃহবধূর মসজিদের মুয়াজ্জিন ভাতিজার সাথে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই গৃহবধূর স্বামী বিদেশ থাকেন। ছেলে তার মাকে অনৈতিক কাজে দেখে ফেলেন। এ কাজে অভিযুক্ত ব্যক্তি গৃহবধূর দু:সম্পর্কের ভাতিজা। এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কামালপুর ইউনিয়নের কাশাহার গ্রামের রফিকুল ইসলাম বেশ কয়েক বছর আগে তার স্ত্রী নূরজাহান এবং ছেলে সাগর ও ইমরানকে রেখে বিদেশ থাকেন। এদিকে স্ত্রী নূরজাহান তার দু:সম্পর্কের ভাতিজা পাশের বাড়ির ফটিক মিয়ার ছেলে পিন্টু মিয়ার সাথে এক বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পিন্টু মিয়া কাশাহার জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন। এ সম্পর্ক এক সময় শারীরিক সম্পর্কে গড়ায়। এদিকে অনৈতিক কাজ করার সময় নূরজাহানের ছেলে সাগর মিয়া তার মাকে হাতেনাতে ধরে এবং এ ধরনের কাজে জড়িত থাকায় গত বুধবার গ্রামের লোকজনদের ডেকে এ অনৈতিক কথার বিষয়ে জানায়। পরে গ্রামবাসীর সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার রাতে অভিযুক্ত ভাতিজা মিন্টু মিয়ার সাথে বিয়ে দেয়া হয়। সাগর মিয়া বলেন, দিনের বেলায় আমার মায়ের সাথে অনৈতিক কাজ করার সময় আমি এটা সহ্য করতে না পেরে কয়েকজন গ্রামবাসীদের বিষয়টি অবগত করেছি। গৃহবধূ নূরজাহান বলেন, এ বিষয়ের কথাগুলো গ্রামবাসী জানতে পারায় এবং আমার স্বামী আমাকে তার ঘরে রাখতে অসম্মতি জানানোর কারণে আমি নিরুপায় হয়ে পিন্টুকে বিয়ে করেছি এবং আগের স্বামীকে তালাক দিয়েছি। বিষয়টি নিশ্চিত করে বিবিরপাড়া গ্রামের মোতাল্লেব কাজি বলেন, যেহেতু আগের স্বামী তাকে ডিভোর্স দিয়েছে। তাই শরীয়াহ অনুযায়ী ২ লাখ টাকা মোহরানা ধার্য করে বিবাহ পরানো হয়েছে। তবে এখনো বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করা হয়নি।