উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে কুমিল্লার মুরাদনগরে আসিফ মাহমুদের সমর্থকদের বিক্ষোভ সমাবেশে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সাংবাদিকসহ আসিফ মাহমুদের অন্তত ১০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। বুধবার বিকেলে মুরাদনগর উপজেলা সদরে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, বুধবার বিকেলে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সদরের আল্লাহ চত্বরে এনসিপির নেতৃবৃন্দ ও আসিফ মাহমুদের সমর্থকরা বিক্ষোভ নিয়ে সমাবেশে জমায়েত হন। এ সময় সমাবেশ লক্ষ্য করে পার্শ্ববর্তী মার্কেট থেকে বেশ কয়েকটি ইট, পাটকেল ছোড়া হয়। এরপরই দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। ইউপি সদস্য শেখর সাংবাদিকদের জানান, আমরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আল্লাহ চত্বরে এসে সমাবেশ শুরু করার পরপরই সমাবেশ লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইট-পাটকেল। এ সময় আমাকে ও সাংবাদিকদেরকে ব্যাপক মারধর করা হয়। মিছিল নিয়ে আসা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মিনাজুল হক সাংবাদিকদের জানান, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রতিপক্ষের লোকজন আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে। মিছিল নিয়ে আসার পথে শত শত ইট-পাটকেল ছুড়ে আমাদেরকে ধাওয়া দিতে থাকে। এ সময় প্রায় অর্ধশতাধিক সমর্থক আহত হয়। এছাড়া মেম্বারের অবস্থা গুরুতর।মুরাদনগর নিউজ সংগ্রহ করতে গিয়ে এনসিপি ও বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে এশিয়ান টিভির জেলা প্রতিনিধি সৌরভ ও খোলা কাগজ পত্রিকার প্রতিনিধি শাহ ইমরান,স্টার নিউজ প্রতিনিধি মারুফ, বার্তা ২৪ এর প্রতিনিধি রাফি, এবং দৈনিক আজকের কুমিল্লা পত্রিকার সাংবাদিক মুন্নাসহ যাদের উপর হামলা হয়েছে ।কুমিল্লায় মুরাদনগরে সাংবাদিকদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে হামলাকারিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী এনামুল হক ফারুক। তিনি বলেন দু দলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার সময় সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে থাকে। হামলায় ৮জন সংবাদকর্মী গুরুত্বর আহত হয়েছেন।হামলাকারিরা সাংবাদিকদের শারীরিক ভাবে নির্যাতনসহ রডের লাঠি দিয়ে মারধর করেছে।সেই সাথে ক্যামেরা ও মোবাইল ভাঙচুর করেছে।যার ছবি ইতিমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। সাংবাদিকদের ওপর এই ধরনের হামলা সংবাদ পরিবেশনে বাধা সৃষ্টি করা যা স্বাধীন সাংবাদিকতার পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। এভাবে হামলা করে সাংবাদিকদের ভীত করে সত্য প্রকাশ বন্ধ করা যাবে না। তিনি সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি র দাবি জানান।
কুমিল্লার মুরাদনগর থানার ওসি (তদন্ত) আমিন কাদের খান সাংবাদিকদের বলেন, আজকে মুরাদনগর সদরে এনসিপির সমর্থনে একটি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ চলছিল। এ সময় মিছিলের পেছন দিকে পাশে অবস্থানকৃত কিছু লোক ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাজ করে। এছাড়া কারা এ হামলার সাথে জড়িত ও ইন্ধনদাতা, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
