Spread the love

নিখোঁজের ৮ দিন পর কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার নির্জন এলাকার একটি বাঁশ ঝাড়ের নিচ থেকে হনুফা আক্তার(৪৫) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে দেবিদ্বার থানা পুলিশ। উদ্ধার হওয়া নারী হনুফা আক্তার দেবিদ্বার পৌর এলাকার বারেরা গ্রামের (ইউছুফ আলী মূন্সী বাড়ির) মৃত: মজিবুর রহমানের স্ত্রী। সে চান্দিনায় একটি বেকারীতে কাজ করতেন। তার ২ পুত্র ও ১ কণ্যা সন্তান রয়েছে। তার স্বামী ৮/৯ বছর আগে মারা গেছেন। ঘটনাটি ঘটে দেবিদ্বার উপজেলার ৭ নং এলাহাবাদ ইউনিয়নের গৌরসার গ্রামের সাবেক সংসদ সদস্য ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা দেবিদ্বার সুজাত আলী সরকারী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ক্যাপ্টেন সুজাত আলীর পরিত্যক্ত বাড়ীর পাশের একটি নির্জন বাঁশ ঝাড়ে। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টায় গৌরসার গ্রামের মৃতঃ আজগর আলীর পুত্র বুদ্ধি প্রতিবন্দী ফরিদ মিয়া(৬০), কচুর লতি উঠাতে যেয়ে ওই অজ্ঞাত নারীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে স্থানীয়দের বিষয়টি জানালে, তারা পুলিশকে খবর দেন। হনুফা বেগমের বাড়ির লিপি আক্তার জানান, আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাশের ছবি ও ভিডিও দেখে লাশের পড়নের শাড়িকাপর দেখে চিনতে পারি। সাথে সাথে নিহত হনুফা বেগমের ছেলেদের সাথে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হই এটা হুফা বেগমের লাশ। নিহতার বড় ছেলে জুয়েল মূন্সী(২৮) জানান, তার বাবা ৮-৯ বছর পূর্বে অসুস্থ হয়ে মারা যায়। পরে সংসারের অভাব অনটন লাগবে সে চান্দিনা, ঢাকাতে চাকরি করত। বর্তমানে চান্দিনা একটি বেকারিতে রান্নার কাজ করতো।মাঝে মধ্যে প্রতিদিন আসত, কখনো ৪-৫ পরপর বাড়িতে আসত। গত সোমবার থেকে বাড়িতে আসে নাই। আজ ফেসবুকে ছবি ভিডিও দেখে খবর পেয়ে এসে দেখি আমার মায়ের লাশ। দেবিদ্বার থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) মাজহারুল ইসলাম জানান, নিহতার পরিচয় প্রথম দিকে অজ্ঞাত হলেও পরে তার পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহতার মাথায়, গলায় এবং বাম চোখের উপর আঘাতের চিহ্ন ও রক্তাক্ত ছিল। অজ্ঞাত খুণীরা তাকে খুন করে এ নির্জন এলাকায় ফেলে গেছে। অনির্ভর সূত্রে পাওয়া তথ্যানুযায়ী যে গ্রামে তার লাশ পাওয়া গেছে ওই গৌরসার গ্রামে তার গোপনে একটি বিয়ে হয়েছিল। আমরা তার সত্যতা যাচাইয়ে অনুসন্ধান করছি। আমরা খুব দ্রুত খুণের রহস্য উদঘাটনে কাজ করছি।

By তালাশ বাংলা ডেস্ক

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ আক্কাস আল মাহমুদ হৃদয়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *