Spread the love

দুদিনের টানা বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে কুমিল্লার গোমতী নদীর পানি হঠাৎ করেই বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে নতুন করে আতঙ্কে পড়েছে গোমতীর পাড়ের বুড়িচংবাসী। বুধবার (৯ জুলাই) বিকেল ৩ টায় গোমতী নদীর পানি বিপদসীমার মাত্র আড়াই মিটার নিচে রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বুড়িচং উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হোসেন। এদিকে কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খাঁন মোহাম্মদ ওয়ালীউজ্জামান জানিয়েছেন, নদীর পানি দ্রুতগতিতে বাড়ছে এবং এখনই সবাইকে সতর্ক থাকার সময়। পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। বুধবার বিকেলে সরেজমিনে গোমতী নদীর বুড়িচং উপজেলার বুড়বুড়িয়া, টিক্কার চর, চানপুর ব্রিজ ও সংরাইশ এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, নদীর তীরবর্তী কিছু চরাঞ্চল ইতোমধ্যেই পানিতে তলিয়ে গেছে। স্থানীয়রা জানান, ২০২৪ সালের ভয়াবহ বন্যায় বুড়বুড়িয়া বাঁধ ভেঙে বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া এলাকার বহু ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে যায়। তারা আশঙ্কা করছেন, এবারের পানি বৃদ্ধিও বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি করেছে। যদি পানি আরও বাড়ে, তবে পাড়ের মানুষকে আবারও ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে হতে পারে। এ বিষয়ে ইউএনও তানভীর হোসেন বলেন, “গোমতীর পানি এখনো বিপদসীমার আড়াই মিটার নিচে রয়েছে। আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই, তবে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।” তিনি আরও জানান, গোমতীর চরে বসবাসকারী পরিবারগুলোকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে সমন্বয় করে দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। অন্যদিকে, কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নদীপাড়ের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। বিশেষ করে ভাঙনপ্রবণ ও নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দাদের প্রয়োজন হলে দ্রুত আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড যৌথভাবে সম্ভাব্য বন্যা মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *