মুরাদনগর গণপিটুনি হত্যা ঘটনায় পেরিয়ে গেছে ২৪ ঘণ্টার বেশি সময়, তবে এখনও থানায় কোনো মামলা হয়নি। কুমিল্লার মুরাদনগরে মাইকে ঘোষণা দিয়ে জনতা ডেকে এনে মা ও তার দুই সন্তানকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যার পর এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। পুলিশ জানিয়েছে, ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যদের খোঁজ করা হচ্ছে এবং তারা মামলা না করলে পুলিশ নিজে বাদী হয়ে মামলা করবে। শুক্রবার দুপুরে বাঙরা বাজার থানার ওসি মাহফুজুর রহমান জানান, পরিবার এখনও থানায় আসেনি। এদিকে দুপুরে কুমেক হাসপাতালে নিহত তিনজনের ময়নাতদন্ত চলছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কড়ইবাড়ি গ্রামে মাদক ও মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগে মাইকিং করে শতাধিক মানুষ তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। রুবি, রাসেল ও জোনাকি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। গুরুতর আহত রুমা আক্তার এখনো কুমেক হাসপাতালে ভর্তি। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ইউপি সদস্য বাচ্চু মিয়া ও চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাল প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে জনতা গণপিটুনিতে অংশ নেয়। মুরাদনগর গণপিটুনি হত্যা নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। স্থানীয়দের প্রশ্ন—আইনের তোয়াক্কা না করে প্রকাশ্যে তিনজনকে হত্যার ঘটনায় এখনও মামলা না হওয়া কীভাবে সম্ভব? অপরাধীরা যেন কোনোভাবেই পার না পায়—এটাই এখন এলাকাবাসীর একমাত্র দাবি।