কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় ভারতীয় সীমান্তে সংলগ্ন রাজাপুর ইউনিয়নের শংকুচাইল এলাকার হায়দ্রাবাদ-নগর এলাকায় মাদক কারবারীদের গুলিতে নিহত সাংবাদিক মহিউদ্দিন নাঈম সরকারের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নিজ বাড়িতে মিলাদ মাহফিল ও দোয়া আয়োজন করা হয়েছে। (১৩ এপ্রিল ২০২৪) শনিবার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মালাপাড়া ইউনিয়নের অলুয়া সাংবাদিক মহিউদ্দিন নাঈমের নিজ বাড়িতে মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লা জজ কোর্টের জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও দক্ষিণ জেলা আ’লীগের সদস্য এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম ভূইয়া। এসময় উপস্থিত ছিলেন মহিউদ্দিনের পিতা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার মোশাররফ হোসেন সরকার,মামা এনামুল হক ভূঁইয়া,ফয়েজ আহমেদ ভূঁইয়া, মনসুর আহমেদ ভূঁইয়া, সাংবাদিক ও গীতিকবি আক্কাস আল মাহমুদ হৃদয়,অন্যান্য সাংবাদিক সহ এলাকার মান্যগণ্য ব্যক্তিবর্গ। দোয়া পরিচালনা করেন অলুয়া ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার সহকারি অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল আউয়াল। উল্লেখ্য, গত ২০২২ সালের ১৩ এপ্রিল (বুধবার) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় ভারতীয় সীমান্তে সংলগ্ন রাজাপুর ইউনিয়নের শংকুচাইল এলাকার হায়দ্রাবাদ-নগর এলাকায় মহিউদ্দিন নাঈমকে গুলি করে পালিয়ে যায় মাদক কারবারিরা। পরে তাকে স্থানীয় দুই যুবক বিজিবির সহায়তায় উদ্ধার করে বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর বাড়ি জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মালাপাড়া ইউনিয়নের অলুয়া গ্রামে। পরে ১৪ এপ্রিল বিকেলে এ ঘটনায় নিহতের মা নাজমা আক্তার বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের রাজুকে প্রধান আসামি করে মোট তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৬ থেকে ৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। ১৬ এপ্রিল রাতে কুমিল্লার গোলাবাড়ি সীমান্তে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন মামলার প্রধান আসামি রাজু। সাংবাদিক মহিউদ্দিনে পিতা মোশাররফ হোসেন সরকার, মা নাজমা আক্তার বলেন,আমাদের ছেলেকে হত্যা করে মেরে ফেলেছে মাদক কারবারীরা। আজ তিন বছর পূর্ণ হয়েছে।ছেলে হত্যাকারীদের বিচার হবে এই জমিনেই,আল্লাহ কাছে এ কামনাই করি ছেলের হত্যার বিচার যেন দেখে যেতে পারি। এসময় তিনি প্রশাসন ও মামলার আইনজীবীকে ধন্যবাদ জানান,কারণ তাদের সহযোগীতার কারণে ৮০% বিচার পেয়েছেন বলে মন্তব্য করেন। আসামিদের ফাঁসি দাবি করেন পরিবার ও এলাকাবাসী।
{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"source_ids":{},"source_ids_track":{},"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"square_fit":1,"transform":2,"addons":2,"adjust":1},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false} 