কুমিল্লার বুড়িচংয়ে খাল সেচ ও পানি নিস্কাশনের কাজের সুবিধার্থে পুণঃ খননের কাজ শুরু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে কৃষকরা নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন। বিশেষ করে বন্যার পানি নিস্কাশন ও ইরি-বোরো মৌসুমে এর ফলে জমিতে সেচকাজ পরিচালনা সহজলভ্য হবে বলে মনে করছেন হাজারো কৃষক। এছাড়া আর্থিকভাবে লাভবান হবেন স্থানীয়রা। জানা যায়,কুমিল্লার শস্য ভান্ডার নামে পরিচিত পয়াতের জলার পানি নিঃষ্কাশনের একমাত্র মাধ্যম তিথি খাল। যে খালটি বুড়িচং উপজেলা সদরের দীঘির চর এলাকায় পয়াতের জলার সাথে সংযোগ হয়েছে। এই খালটি তিথি নদী এলাকায় পরিচিত। যার বেশির ভাগ অংশ ময়লা আর্বজনায় ভরে গেছে। (২৬ এপ্রিল) শনিবার বিকাল ৫টায় ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে তিথি নদীর পুনঃখনন কাজ উদ্বোধন করলেন বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাহিদা আক্তার। এসময় তিনি বলেন, আমি সরকারের একজন প্রতিনিধি হিসেবে এই এলাকার কৃষকের স্বার্থে খালটি পুনঃখননের ব্যবস্থা করেছি। এখন তার সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব জনগণকে নিতে হবে। এ ছাড়াও বুড়িচং উপজেলার ছোট বড় বিভিন্ন খাল খনন ও পুনঃখননের জন্য বরাদ্দ দিয়েছি যেন বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে কৃষকের লোকসান না হয়। তিনি আরো বলে এই এলাকা আপনাদের। আপনাদের সম্পদ আপনাদেরকেই রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। আমরা কিছু দিনের জন্য আপনাদের সেবা করতে আসি। এই খালগুলোর অস্তিত্ব রক্ষার্থে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন বুড়িচং বাজার কমিটির সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম,বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা জেলা যুগ্ন আহ্বায়ক শাকিল আহম্মেদ, জেলা যুগ্ন আহ্বায়ক জামিলুর রহমান তানিম,জেলা সংগঠক নিহাদ সিদ্দিকী, জেলা কার্যনির্বাহী সদস্য তারেকুল ইসলাম পিয়াস,বুড়িচং উপজেলা প্রতিনিধি মোহাম্মদ সায়মন ইসলাম, মোহাম্মদ তানভীর , মোহাম্মদ হাসানসহসহ বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার ব্যাক্তিবর্গ।