দাফনের প্রায় ছয় মাস পর আদালতের নির্দেশে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নিহত সবুজ মিয়ার লাশ উত্তোলন করেছে পুলিশ। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে মেলান্দহ উপজেলার ফুলকোঁচা ইউনিয়নের পূর্ব কোনামালঞ্চ এলাকা থেকে তার লাশ উত্তোলন করা হয়। নিহত মো. সবুজ মিয়া জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ফুলকোঁচা ইউনিয়নের পূর্ব কোনামালঞ্চ এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে। তিনি আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় শ্রমিকের কাজ করতেন। মামলার এজাহারে জানা যায়, ‘গত বছরের ৫ আগস্ট বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে আশুলিয়া থানা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন সবুজ মিয়া। পরে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পরের দিন ৬ আগস্ট তাকে নিজ গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।’ নিহত সবুজ মিয়ার মা জরিনা বেগম বলেন, ‘এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসহ দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি দিতে হবে। ’ আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুর আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।’ মেলান্দহ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) তাসমীন জাহান বলেন, ‘তদন্তের প্রয়োজনে কোর্টের নির্দেশে লাশটি উত্তোলন করা হয়েছে।’ প্রসঙ্গত, সবুজ মিয়া হত্যার ঘটনায় তার মা জরিনা বেগম বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় ৫১ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।