কোরবানি পশুর হাটের ইজারা নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে চলমান অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাট নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার (৭ জুন) বিকেলে উপজেলার বাংগড্ডা ইউপির বাংগড্ডা বাজার এলাকার কাদোবা (নিমুই) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সঙ্গে সঙ্গে অস্থায়ী কোরবানি পশুর হাট পণ্ড করে বাঁশ তুলে নেওয়ার নিদের্শ দেয় উপজেলা প্রশাসন। আহতরা হলেন কাদোবা গ্রামের মৃত. আব্দুল হামিদের ছেলে মোহাম্মদ (৩৫), মৃত মোহাম্মদের ছেলে মোবারক, গান্দাচী গ্রামের পলাশ, বাংগড্ডা গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে ইজারাদার সবুজ। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি যুক্তিখোলা বাজারের গরুর হাট বন্ধ হওয়ায় কাদোবা গ্রামের হুমায়ুন কবির বজলু কাদোবা (নিমুই) গ্রামে তার মাছের ফিসারি মাটি দিয়ে ভরাট করে প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে প্রতি শুক্রবার পশুর হাট বসান। গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলা প্রশাসন অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাটের ইজারা দেওয়ার জন্য গোপন টেন্ডার ছাড়ে। সেই অনুযায়ী জায়গার মালিক হিসেবে হুমায়ুন কবির বজলু ৬ হাজার টাকা দিয়ে টেন্ডার জমা দেন। তার সঙ্গে বাংগড্ডা গ্রামের সবুজও ২১ হাজার টাকার টেন্ডার জমা দেন। টাকা বেশি দেওয়ায় সবুজ হাটের ইজারা পান। ইজারা পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে লোকজন নিয়ে পশুর হাটে বাঁশ গাড়তে থাকেন তিনি। এ সময় হুমায়ুন তাদের বাধা দেন। ঘটনাটি মীমাংসার জন্য শুক্রবার বিকেলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ মেহেদী হাসান পশুর হাটে গিয়ে চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান মজুমদার, সদস্য জামাল উদ্দিন ও সাবেক সদস্য আব্দুল মালেককে নিয়ে বসেন। এ অবস্থায় হুমায়ুন ও সবুজের লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয়। তাৎক্ষণিক সহকারী কমিশনার দুই গ্রুপকে দুই দিকে পাঠিয়ে দেন। কাদোবা গ্রামের মোহাম্মদ বাংগড্ডা বাজার থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে সবুজের লোকজন তাকে রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। খবর পেয়ে হুমায়ুনের লোকজন সবুজের লোকজনকে ধাওয়া দিলে উভয় পক্ষে মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হয়। কোন দেশে কবে ঈদুল আজহাকোন দেশে কবে ঈদুল আজহা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ মেহেদী হাসান এ ঘটনা দেখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুরাইয়া আক্তার লাকিকে ঘটনাস্থলে এনে পুরো এলাকায় পুলিশ মোতায়ন করে পরিস্থিতি শান্ত করেন। পাশাপাশি পশুর হাটটি বন্ধ করে দিয়ে বাঁশ তুলে নেওয়ার নিদের্শ দেন। এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট থানার ওসি দেবাশীষ চৌধুরী বলেন,দুই পক্ষের মারামারির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়। অভিযোগের আলোকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুরাইয়া আক্তার লাকি বলেন, উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনায় একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে হাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। খোঁজ-খবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *