কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের প্রধান ২১ মামলার আসামি মোঃ আলমগীর ও তার সহযোগী ১৫ মামলার আসামি মোঃ বিল্লাল হোসেন ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে ব্রাহ্মণপাড়া থানা পুলিশ।
(২৪ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার রাতে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়,সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ শাহীন-এর নির্দেশনায় এবং ব্রাহ্মণপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম-এর তত্ত্বাবধানে ব্রাহ্মণপাড়া থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মোঃ মেহেদী হাসান জুয়েল-এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত রাতে অভিযান পরিচালনা করে।এ অভিযানে মাধবপুর ইউনিয়নের উত্তর চান্দলা এলাকা থেকে আলমগীর ও বিল্লালকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে আরও জানা যায়, গ্রেফতারকৃত মোঃ আলমগীরের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, মাদকসহ মোট ২১টি মামলা রয়েছে। তার সহযোগী মোঃ বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে রয়েছে ১৫টি মামলা। আলমগীর দীর্ঘদিন ধরে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সরদার হিসেবে সক্রিয় ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই ডাকাতির ঘটনায় জড়িত এ পর্যন্ত মোট ৬ জন ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে আলমগীর, রয়েল ও বিল্লালসহ তাদের সহযোগীরা কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলায় দীর্ঘদিন ধরে ডাকাতি কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। ডাকাত দলের প্রধান আলমগীর গ্রেফতার হওয়ার খবরে মাধবপুরসহ আশপাশের এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
স্থানীয়রা জানান, আলমগীর ও তার সহযোগীদের চুরি ও ডাকাতির কারণে দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসী আতঙ্ক ও অতিষ্ঠতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছিল।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম জানায়, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং ডাকাত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দে ভোর আনুমানিক ৩টার দিকে উত্তর চান্দলা এলাকার বাসিন্দা আবুল কালামের বাড়িতে সংঘটিত একটি ডাকাতির ঘটনায় নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার, বেন্ডার মেশিন ও মোবাইল ফোন লুট করা হয়। ঘটনার পরপরই ব্রাহ্মণপাড়া থানা পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ডাকাতদের শনাক্ত করে ধারাবাহিক অভিযান শুরু করে।
