অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ফ্যাসিস্ট শক্তিকে দমনে দেশজুড়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ নামে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে যৌথবাহিনী। গত শনিবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়া এ অভিযানে চার দিনে সারাদেশে মোট দুই হাজার ৪৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে ১২টি আগ্নেয়াস্ত্র।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার পর গত শনিবার আইন-শৃঙ্খলাসংক্রান্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোর কমিটির বৈঠকে নির্বাচনকালীন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং ফ্যাসিস্টদের দমনে বিশেষ অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ওই সিদ্ধান্তের আলোকে শনিবার রাত থেকেই পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ নামের এ অভিযান শুরু করে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) এ এইচ এম শাহাদাত হোসাইন জানান, শনিবার রাত থেকে শুরু হয়ে সোমবার পর্যন্ত চলা অভিযানে মোট দুই হাজার ৪৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় এ অভিযানে ৮২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে তিনটি এলজি, একটি দেশীয় ওয়ান শ্যুটারগান, আট রাউন্ড রাইফেলের গুলি, চার রাউন্ড পিস্তলের গুলি, তিন রাউন্ড কার্তুজ এবং দুটি বার্মিচ চাকু।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, নির্বাচনকালীন নিরাপত্তা নিশ্চিত ও অপরাধ দমনে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
