ছেলের জন্য পাত্রী দেখে বাড়ি ফেরার পথে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ট্রাক-সিএনজি ও অটোরিকশার ত্রিমুখী সংঘর্ষে স্বামী-স্ত্রীসহ তিনজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছে। সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার লাকসাম-চৌদ্দগ্রাম আঞ্চলিক সড়কের ফেলনা কাজীবাড়ি ইউটার্নে ঘটনাটি ঘটে। নিহত তিনজন হলেন নাঙ্গলকোট উপজেলার মৌকরা ইউনিয়নের মহেশ্বর গ্রামের আবুল বাশার (৫৫), তার স্ত্রী মোরশেদা বেগম (৪৫) এবং সিএনজি অটোরিকশা চালক চৌদ্দগ্রাম পৌরসভা নাটাপাড়া এলাকার কালা মিয়ার ছেলে মমতাজ উদ্দিন (৫০)। আহত পাঁচজনের মধ্যে চারজনের পরিচয় মিলেছে। তারা হলেন নাঙ্গলকোট উপজেলার আবু তৈয়ব (২৬), আব্দুর রহিম (২৭), অটোচালক মাহবুবুল হক এবং আনোয়ারা বেগম (৪২),অজ্ঞাতনামা আরো একজন। তাদেরকে শুরুতে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আবু তৈয়ব ছাড়া বাকিদের কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। চৌদ্দগ্রাম হাসপাতালে আহত আবু তৈয়বের আত্মীয় জানান, আবুল বাশার ও মোরশেদা আবু তৈয়বের বাবা-মা। ছেলের জন্য মেয়ে দেখতে চৌদ্দগ্রাম এসেছিল। বাড়ি ফেরার পথে চৌদ্দগ্রাম ফেলনা এলাকায় ট্রাকে নিচে সিএনজি অটোরিকশা চাপা পড়ে তারা নিহত হয়। স্থানীয়রা জানান, সোমবার সন্ধ্যায় লাকসাম থেকে চৌদ্দগ্রাম মুখী একটি ট্রাকের সঙ্গে লাকসাম-চৌদ্দগ্রাম আঞ্চলিক সড়কের ফেলনা কাজী বাড়ির সামনে ইউটার্নে চৌদ্দগ্রাম থেকে নাঙ্গলকোটগামী একটি সিএনজি ও একটি অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজিটি দুমড়েমুছড়ে ট্রাকের নিচে চলে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয়রা এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। ঘটনাস্থলেই দুজন পুরুষ ও একজন নারী সহ তিনজন নিহত হয়। নিহতরা সবাই সিএনজির যাত্রী। আহত হয় পাঁচজন। চৌদ্দগ্রাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিলাল উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস যায়।