কুমিল্লা নগরীতে চাঁদা না দেওয়ায় এক বাড়ি মালিককে তুলে নিয়ে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নগরীর ইপিজেড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন নগরীর চর্থা এলাকার শান (২৫) ও বিশাল (২৫)। কুমিল্লা র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লার কোম্পানি অধিনায়ক মেজর সাদমান ইবনে আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। র্যাব জানায়, নগরীর দক্ষিণ চর্থা এলাকায় নির্মাণাধীন একটি বাড়িতে গিয়ে গ্রেপ্তার দুইজনসহ কয়েকজন যুবক চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে বাড়ির মালিক আলী হোসাইনকে তুলে নিয়ে অপর একটি নির্মাণাধীন বাড়ির ভেতর আটককে রেখে নির্যাতন করা হয়। এতে আলী হোসাইনের হাত ভেঙে যায়। পরে এ ঘটনায় গত ১৯ অক্টোবর আলী হোসাইন বাদী হয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা করেন। এরপর র্যাব অভিযানে নেমে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নগরীর ইপিজেড এলাকা থেকে শান ও বিশালকে গ্রেপ্তার করে। পরে রাত ৮টায় দুইজনকে কোতোয়ালি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তত করা হয়। আহত আলী হোসাইন বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে তারা আমার কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে শান ও বিশালসহ ৪-৫ জন আমাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে চর্থা থিরাপুকুর পাড় এলাকায় নির্মাণাধীন একটি বাড়িতে আটকে রাখে। সেখানে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আমার হাত ভেঙে দেয়। এক পর্যায় হত্যার ভয় দেখিয়ে নগদ ও বিকাশের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। বর্তমানে আমি রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছি। বাকি চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তারসহ সবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি। এ বিষয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার বিশালের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও ভাঙচুরসহ মোট ১০টি মামলা রয়েছে। এ ছাড়া শানের বিরুদ্ধে রয়েছে চাঁদাবাজি, ছিনতাইসহ ৩টি মামলা। বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকালে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হবে।
