কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে পরিবারের অমতে বিয়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে স্ত্রীর সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে স্বামীর আত্মহত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার বিকেলে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. শহীদুল্লাহ প্রধান।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার ভারেল্লা দক্ষিণ ইউনিয়নের রামপুর পোস্ট অফিস এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,উপজেলার রামপুর এলাকার কাঠমিস্ত্রি শামীম হোসেন (৩৬) ওই এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে। প্রায় ১৬ বছর আগে তার বিয়ে হয় চান্দিনা উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের নসু মিয়ার মেয়ে জেসমিন আক্তারের সঙ্গে। দাম্পত্য জীবনে তাদের দুই মেয়ে রয়েছে। সম্প্রতি শামীম ও জেসমিনের বড় মেয়ে তাসফিয়া আক্তার (১৪)-কে জেসমিন তার বাবার বাড়ি কাশিমপুরে এক আত্মীয়ের সঙ্গে বিয়ে দেন। পরিবারের অমতে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের এই বিয়ে দেওয়া নিয়ে স্বামী শামীম হোসেন ও তার স্ত্রীর জেসমিনের দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। এই ঘটনার পর গত কোরবানির ঈদের সময় জেসমিন ছোট মেয়ে তানজিনা আক্তার (৫)-কে নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যান এবং আর ফিরে আসেননি। বহুবার চেষ্টা করেও তাকে স্বামীর বাড়িতে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। এতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তীব্র সম্পর্কের টানাপোড়েন দেখা দেয়। পরিবারের সদস্যরা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে নাস্তা করে শামীম নিজের ঘরের দরজা ও জানালা বন্ধ করে ঘুমাতে যান। সারাদিন ঘুম থেকে না ওঠায় সন্ধ্যায় তার মা সাহেরা বেগম ডাকাডাকি করেন। কোনো সাড়া- শব্দ না পেয়ে দরজা খুলে দেখেন শামীম হোসেন ঘরের তীরে গলায় রশি বেঁধে ঝুলে আছেন। খবর পেয়ে দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠান। বুড়িচং থানাধীন দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. শহীদুল্লাহ প্রধান বলেন,আমরা রাত ৮টার দিকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছি। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৬টার মধ্যে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন।তিনি আরও বলেন,এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।আজ বিকেলে লাশ ময়নাতদন্তের শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
