কুমিল্লা শহরে সাম্প্রতিক ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তদের গ্রেফতার এবং লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারে কোতয়ালি মডেল থানা ও জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের যৌথ অভিযান সফল হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান। এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল কামরান হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান রাফি, ডিবি পুলিশের ওসি রাজেশ বড়ুয়া, এবং কোতয়ালি মডেল থানার ওসি মোঃ ফিরোজ হোসেন। গত ২১ মার্চ রাতে শাসনগাছা এলাকায় শাহাদাত হোসেন রাশেদ নামে এক ব্যক্তি পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাইয়ের শিকার হন। এর পরের ঘটনায়, ৯ মে দুপুরে ফাহমিদা আক্তার নামে এক মহিলা রাজগঞ্জ এলাকায় রিকশা থেকে নেমে ছিনতাইয়ের শিকার হন। এই দুটি ঘটনায় সুমন (৩৬), পিতা-মৃত সিরাজুল ইসলাম ও সিরাজ মিয়া, মাতা-মনোয়ারা বেগম, সাং-২য় মুরাদপুর, কোতয়ালী, কুমিল্লা এবং সুজন (৩৫), পিতা-মৃত সেলিম মিয়া, সাং-২য় মুরাদপুর, থানা-কোতয়ালী, জেলা-কুমিল্লা নামে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। সুমনকে কোতয়ালী থানাধীন ০৬নং জগন্নাথপুর ইউনিয়নের ধনপুর থেকে এবং সুজনকে সদর দক্ষিণ থানাধীন পুরান চৌয়ারা গ্রামের জনৈক শফিক মিয়ার বাড়ী থেকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযানে উদ্ধারকৃত আলামত সমূহের মধ্যে রয়েছে অস্ত্র, ছিনতাইকৃত মালামাল, এবং ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত মোটর সাইকেল। পুলিশ এখনও ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত অন্যান্য পলাতক আসামীদের খোঁজে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে এবং লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারে তৎপর রয়েছে। সুমনের বাসা থেকে উদ্ধারকৃত অস্ত্রের বিষয়ে অস্ত্র আইনে পৃথক মামলা রুজু করা হয়েছে।