Spread the love

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শংকুচাইল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কমিটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকাবাসীর সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে গঠিত কমিটিকে পাশ কাটিয়ে একদল প্রভাবশালী গোপনে নতুন কমিটি গঠন করায় মুসল্লিদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দেয়। বিষয়টি তালাশ বাংলায় সংবাদ প্রকাশিত হলে উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের নজরে আসে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মসজিদের মাঠে উভয় পক্ষের লোকজন ও এলাকাবাসীকে নিয়ে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে প্রশাসনের উদ্যোগে এক সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন—কুমিল্লা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলা,বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও),তানভীর হোসেন।বুড়িচং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিজুল হক এছাড়াও প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে উভয় পক্ষের অভিযোগ শোনার পর প্রশাসন ভবিষ্যতে কোনো ধরনের অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন। বৈঠকে উভয় পক্ষের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন— শহিদুল ইসলাম মেম্বার, এডভোকেট হোসেন আজমত খান, সিরাজ খান, সাদ্দাম খান, আব্দু মিয়া, জামাল খান, সনেট, সোহেল রানা, জুবায়ের আহসান নান্নু, ভূইয়ান, আব্দুল আলিম, মোঃ হালিম, মোঃ সেলিম, মুখলেসুর রহমান, লিটন খান, সাইফুল ইসলাম খান সোহেল, মন্টু মিয়া, গিয়াস খান, ফয়সাল, আলামিন, আরিফ হোসেন রাব্বি, মহসিন খান, রাসেল, কাজি আবু সায়েমসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। এর আগে, গত১ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে ঈদুল ফিতরের পরদিন এক হাজারেরও বেশি এলাকাবাসীর স্বাক্ষর ও উপস্থিতিতে একটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটিতে ছিলেন এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ডা. আব্দুস সালাম, ডা. গোলাম সারোয়ার বিদ্যুৎ, শিল্পপতি মাসুদুর রহমান, এমরান খানসহ আরও অনেকে। নতুন কমিটি দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো মসজিদের আয়-ব্যয়ের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ঢাকাস্থ স্বনামধন্য সিএ ফার্ম বখতিয়ার ইস্রাফিল অ্যান্ড কোং এর মাধ্যমে অডিট কার্যক্রম শুরু করে। কিন্তু পূর্ববর্তী কমিটির দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও কোনো হিসাব-নিকাশ জমা দেননি বলে অভিযোগ ওঠে। অডিট শেষে পূর্ববর্তী কমিটির আয়-ব্যয়ে অনিয়ম ও অর্থ তছরুপের প্রমাণ পাওয়া যায়। এরই ধারাবাহিকতায় অভিযোগ উঠেছে, পূর্ববর্তী কমিটির কিছু সদস্য এবং বর্তমান ইমাম মোস্তাফিজুর রহমান হেলাল গোপনে ওয়াকফ দপ্তরে আবেদন করে আরেকটি নতুন কমিটি অনুমোদন করান। এলাকাবাসীর দাবি— ওয়াকফ পরিদর্শককে প্রভাবিত করেই এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রামবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা নির্বাচিত কমিটিকে পাশ কাটিয়ে গঠিত নতুন কমিটিকে “ষড়যন্ত্রমূলক” বলে অভিহিত করেছেন। এলাকাবাসীর একাধিক প্রতিনিধি বলেন—আমরা জনগণের ইচ্ছায় গঠিত কমিটির পক্ষেই আছি। যেকোনো মূল্যে দুর্নীতিবাজ চক্রকে প্রতিহত করা হবে। গ্রামবাসী ধর্ম মন্ত্রণালয়, ওয়াকফ প্রশাসন এবং জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছে।নির্বাচিত কমিটিকে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে কার্যকর করা হোক এবং শংকুচাইল গ্রামকে সম্ভাব্য সংঘাত থেকে রক্ষা করা হোক।

By তালাশ বাংলা ডেস্ক

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ আক্কাস আল মাহমুদ হৃদয়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *