Spread the love

কুমিল্লার বুড়িচংয়ে মসজিদের ভেতরে নামাজরত অবস্থায় ব্যবসায়ী সায়মন রেজার ওপর ছুরিকাঘাতের ঘটনায় হামলাকারীকে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে কুমিল্লা-বাগড়া সড়কে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের শংকুচাইল বাজারে স্থানীয় ব্যবসায়ী,ছবিপাড়ার একতা কল্যাণ সামাজিক সংগঠন ইউনাইটেড ইউথ এবং সাধারণ মানুষের উদ্যোগে এ মানববন্ধন হয়। এতে বাজারের ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বসহ ৮ শতাধিক বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।

বক্তারা এ সময় ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে হামলাকারী সুমনকে গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান। অন্যথায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইন অবরোধের হুঁশিয়ারি দেন তারা।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন আহত সায়মনের মামা ইঞ্জি. হোসেন, রাজাপুর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা, শংকুচাইল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব শাহাজাহান সারোয়ার, শংকুচাইল উচ্চ বিদ্যালয় মসজিদের ইমাম হাফেজ আবু হানিফ লিকসন, বাজার কমিটির সভাপতি ও ইউপি সদস্য মো. মিজানুর রহমান, বিএনপির রাজাপুর ইউনিয়ন সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, শিল্পপতী ও সমাজসেবক আনিছুর রহমান, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বুড়িচং উপজেলা যুগ্ম সমন্বয়কারী সোহেল রানা, ব্যবসায়ী মোমেন খান, ব্যবসায়ী আহসান জুবায়ের নান্নু, রাজাপুর ছাত্রদল সভাপতি আশিক খান, ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসাইন খান, আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) রাজাপুর ইউনিয়নের আহ্বায়ক জাকির হোসেন ভূঁইয়া, ব্যবসায়ীদের পক্ষে জুয়েল খানসহ আরও অনেকে। উল্লেখ্য,গত শনিবার শংকুচাইল উচ্চ বিদ্যালয় মসজিদে এশার নামাজের সময় ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন শংকুচাইল বাজারের সায়মন টেলিকমের মালিক মো. সায়মন রেজা (২৮)। এতে তার কিডনি ছিদ্র হয়ে বিকল হয়ে যায়। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রামের পার্ক ভিউ হাসপাতালে সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন। আহত সায়মন শংকুচাইল দক্ষিণপাড়ার সাবেক সেনাসদস্য আলী হায়দারের ছেলে। অভিযুক্ত হামলাকারী সুমন শংকুচাইল কালিমুদ্দিন বাড়ির ছাত্তারের ছেলে। দোকানের বাকির টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করেই এ নৃশংস হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।স্থানীয়রা দাবি করেন, সুমন মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত।  বক্তারা বলেন,সায়মন একজন সফল ব্যবসায়ী এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মানুষ। মসজিদের ভেতরও মানুষ নিরাপদ নয় – এটি নিন্দনীয় ও উদ্বেগজনক। পুলিশ হামলাকারীকে এখনো গ্রেপ্তার করতে না পারায় আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাই। তারা আরও বলেন,২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীকে গ্রেপ্তার না করা হলে আমরা ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইন অবরোধ করতে বাধ্য হব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *