Spread the love

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশের জনগণ দেড় দশকের আন্দোলন কিংবা জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হয়েছে কেবল কিছু মানুষের হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়ার জন্য নয়। জনগণ রাষ্ট্র ও সরকারের মালিকানা প্রতিষ্ঠার জন্য স্বৈরাচারকে হটিয়েছে, জীবন উৎসর্গ করেছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “সরকার পরিচালনা করতে হলে অবশ্যই নাগরিকদের কথা শুনতে হবে।” বুধবার সাভারের আশুলিয়ার দারুল ইহসান মাদরাসা মাঠে গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত ‘নারকীয় জুলাই’ শীর্ষক সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। তারেক রহমান বলেন, “একজন নাগরিকের রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রয়োগের প্রধান উপায় নির্বাচন। প্রতিটি নাগরিক যেন নিজের প্রতিনিধি নিজেই বেছে নিতে পারে, সে কারণেই বিএনপি সব সময় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ওপর জোর দেয়। স্থানীয় থেকে জাতীয় পর্যায়ে জনগণ যদি সরাসরি ভোটের মাধ্যমে প্রতিনিধি বেছে নিতে পারে, তবে রাষ্ট্রে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটবে।” তিনি বলেন, রাষ্ট্র ও রাজনীতির মূল শক্তি জনগণ। জনগণকে দুর্বল রেখে রাষ্ট্র, রাজনীতি বা সরকারকে শক্তিশালী করা সম্ভব নয়। জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিত করতে পারলেই ভবিষ্যতে কোনো ফ্যাসিবাদ কায়েম হতে পারবে না এবং দেশকে কেউ তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করতে পারবে না। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান নিয়ে তিনি বলেন, “হাজারো প্রাণের বিনিময়ে স্বৈরাচার দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। সাভার-আশুলিয়া গণহত্যায় শ্রমজীবী মানুষের রক্ত ঝরেছে, লাশ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। এমন নৃশংসতা কারবালার ঘটনাকেও হার মানিয়েছে।” অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, শহীদদের রক্তে পতিত ফ্যাসিবাদী অপশক্তিকে রাজনৈতিকভাবে পুনর্বাসনের সুযোগ নিতে ওৎ পেতে আছে। সরকারের যে কোনো ভুল সিদ্ধান্ত দেশে গণতন্ত্রের যাত্রা বিপর্যস্ত করে দিতে পারে এবং উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। তিনি বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে শ্রমজীবীদের সরাসরি স্বার্থ না থাকলেও তারা রাস্তায় নেমেছিল। কারণ তারা বুঝেছিল ফ্যাসিস্ট শাসন টিকে গেলে কৃষক-শ্রমিক-ছাত্র-জনতা কারও গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরবে না, সার্বভৌমত্ব লুণ্ঠিত হবে। তাই তারা মৃত্যুকে বরণ করেছে। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, খন্দকার আবু আশফাক ও অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় প্রমুখ।

By তালাশ বাংলা ডেস্ক

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ আক্কাস আল মাহমুদ হৃদয়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *