কুমিল্লার লালমাই উপজেলায় বিয়ের মাত্র ৩৬ দিনের মাথায় প্রবাসী স্বামীকে গোপনাঙ্গে আঘাত করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে নববধূ আয়েশা আক্তারের বিরুদ্ধে। নিহত স্বামী সাকিব চৌধুরী (৩২) উপজেলার ভুলইন দক্ষিণ ইউনিয়নের মোস্তফাপুর গ্রামের সোহেল চৌধুরীর ছোট ছেলে এবং সৌদি প্রবাসী ছিলেন। নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ মে লাকসাম উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের তাজুল ইসলামের মেয়ে আয়েশা আক্তারের (২৪) সঙ্গে পারিবারিকভাবে ৭ লাখ টাকা মোহরানায় সাকিবের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই আয়েশা স্বামীর উপহারে দেওয়া স্মার্টফোনে পুরনো সিম চালু করে কারো সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করতে থাকেন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। গত ৩ জুলাই রাত ১১টায় তারা ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ৪টার দিকে আয়েশার চিৎকারে পরিবারের লোকজন গিয়ে দেখেন, সাকিবের গলায় ওড়না প্যাঁচানো এবং তিনি স্ত্রীর কোলে নিথর পড়ে আছেন। পরে তাকে দ্রুত কুমিল্লা মেডিক্যাল সেন্টারে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জানান, তিনি আগে থেকেই মারা গেছেন। পরিবারের আপত্তি সত্ত্বেও ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফন করা হয়। তবে মৃত্যুর সাতদিন পর (৯ জুলাই) নিহতের বাবা সোহেল চৌধুরী বাদী হয়ে কুমিল্লার ৫নং আমলি আদালতে আয়েশা আক্তারসহ পাঁচজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা (সিআর নং ৪৯১/২৫) দায়ের করেন। মামলার বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়, আয়েশা চৌধুরীর গোপনাঙ্গে আঘাত করে তাকে হত্যা করেছেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- নিহতের শ্যালক রাসেল (২৩), শ্বশুর তাজুল ইসলাম (৬৫), স্ত্রীর আত্মীয় সফিকুল ইসলাম (৬০) এবং মমিনুল ইসলাম (৪৫)। নিহতের বাবা সোহেল চৌধুরী বলেন, “আমার ছেলেকে আয়েশা ও তার পরিবারের লোকজন পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করতে বলায় আয়েশা ক্ষিপ্ত হয়ে ছেলেকে মেরে ফেলেছে। আমি তার ফাঁসি চাই।” লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, “আদালতের নির্দেশনা পেয়েছি। তদন্ত করে দ্রুত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।” এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।