কুমিল্লা-৪ আসনের (দেবিদ্বার) সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, দুর্নীতি ও অর্থপাচারের অভিযোগে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (০৮ জুলাই) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “সাবেক এই সংসদ সদস্য জ্ঞাত আয়ের চেয়ে অনেক বেশি সম্পদের মালিক হয়েছেন। প্রাথমিক অনুসন্ধানে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বেশ কিছু তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে।”
এ বিষয়ে অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছেন দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান। দুদক সূত্র জানায়, আবুল কালাম আজাদ ব্যাংক থেকে শত কোটি টাকার ঋণ নিয়ে তা বিদেশে পাচার করেছেন। রাজধানীর গুলশান, বনানী ও উত্তরা এলাকায় রয়েছে তার অভিজাত ফ্ল্যাট ও প্লট, যেগুলো দুর্নীতির টাকায় ক্রয় করা হয়েছে বলে সন্দেহ। এছাড়া, তিনি ঢাকায় বসে আরও কিছু দুর্নীতিবাজ সাবেক ও বর্তমান সংসদ সদস্যদের নিয়ে একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অর্থপাচার, টেন্ডার বাণিজ্য, ভূমি দখল এবং প্রশাসনিক প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জনের মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। সূত্র আরও জানায়, আবুল কালাম আজাদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে রয়েছে শত শত কোটি টাকার অপ্রদর্শিত সম্পদ। এমনকি বিদেশেও রয়েছে একাধিক ব্যাংক হিসাব ও সম্পদ। দুদক জানিয়েছে, অনুসন্ধান শেষে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।