কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ গ্রামে প্রবাসীর স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম নয়ন হত্যার বিচার ও আসামিদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৬ জুলাই) বিকেলে দক্ষিণগ্রামের সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে কুমিল্লা-বাগড়া সড়কে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এতে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধনে বক্তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদের দ্রুত ফাঁসি কার্যকরের দাবি জানান। একইসাথে জড়িতদের সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক গ্রেপ্তার এবং এলাকায় মাদকবিরোধী কার্যক্রম জোরদারের আহ্বান জানান। বক্তব্য দেন নিহত ফেরদৌসী বেগমের বাবা শামসুল আলম, দেবর আলমগীর হোসেন, ছেলে ইকরাম হোসেন, জামায়াতের সাবেক আমীর ও জেলা শূরা সদস্য এডভোকেট অধ্যাপক মো. আবদুল আওয়াল, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সমাজসেবক নোয়াব মিয়া মাস্টার, বিএনপি নেতা আবদুল হান্নান, মো. মফিজুল ইসলাম মাস্টার, এ কে এম আনোয়ার হোসেন স্বজন, ইউপি সদস্য বাবুল বেগ, ডাক্তার হাবিবুর রহমান শাহীন, ডাক্তার সাইফুল ইসলাম শাহিন, সিদ্দুকুর রহমান, হাজী খোরশেদ আলম, মো. সেলিম চৌধুরী, ফারুক মাস্টার, আবু কাউসার, সাবেক মেম্বার শাহীন আলম, ছাত্রদল নেতা জালাল উদ্দিন খান, নিজাম উদ্দিন, মো. শামীম উসমান, জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা মো. সোহেল রানা, মো. মোজাম্মেল হক, সোহাগ মিয়া, সাইফুল আলম তুহিনসহ প্রায় এক হাজারের বেশি মানুষ। কর্মসূচি পরিচালনা করেন লোকমান হোসেন ও মো. কামরুল হাসান।
উল্লেখ্য, উপজেলার দক্ষিণগ্রামের সৌদি প্রবাসী সামছুল আলমের স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম গত ২৭ জুন নিখোঁজ হন। চার দিন পর ১ জুলাই দেবরের পরিত্যক্ত বাথরুমের সেপটিক ট্যাংক থেকে তার বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে ইকরামুল হাসান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তদন্তে বেরিয়ে আসে, জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে জা নুরজাহান বেগম পার্শ্ববর্তী এলাকার মাদকসেবী আনোয়ার হোসেনকে দুই লাখ টাকার চুক্তিতে হত্যাকাণ্ডে লিপ্ত করে। আনোয়ার আরও দুই সহযোগী রুবেল আহমেদ মিন্টু ও মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন জিল্লুকে সঙ্গে নেয়। হত্যার পর ফেরদৌসীর স্বর্ণালঙ্কার শংকুচাইল বাজারের নন্দিতা জুয়েলার্সে বিক্রি করে দেয় হত্যাকারীরা। পুলিশ সেই স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করে এবং চারজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী নুরজাহান বেগম (৫০), মো. সোলাইমান ওরফে তনু মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩০), মমতাজ উদ্দিন মন্তাজের ছেলে রুবেল আহমেদ মিন্টু (৩১) এবং মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন জিল্লু (২৭)।
