কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের শিকারপুর গ্রামের প্রবাসী আলমগীর হোসেন এর বাড়ীতে ১০-১৫ জনের একদল সশস্ত্র মুখোশধারী ডাকাত ঘরের দরজা খুলে অস্ত্রের মুখে লোকজন কে জিম্মি করে দূর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত করে। ডাকাত দল আলমারীর চাবি নিয়ে নগদ ৩ লাখ ২০ টাকা এবং ৭ ভরি স্বর্ণ ও বিভিন্ন দামী মালামাল সহ ১২ লক্ষাধিক টাকা লুট করে নিয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার দিবাগত রাত ২.৩০ মিনিটে। এসময় বাড়ীর লোকজন ডাকাতের উপস্থিতি টের পেয়ে গ্রামের মসজিদে মাইকিং করলে ডাকাত পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ির এ এস আই আবুল কাসেম সঙ্গীয় ফোর্স সহ রাতে ঘটনা স্থলে পরিদর্শন করে। প্রবাসী আলমগীর হোসেনের স্ত্রী শিরিন আক্তার জানান জেলার বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়ন এর শিকারপুর গ্রামে রমিজ উদ্দিন মূহূরী বাড়ির আলমগীর হোসেন প্রবাসীর ঘরে গত শনিবার রাত ২.৩০ মিনিটে তার মেজাে ছেলের সানা উল্লাহ’র কন্ঠ নকল করে ডাক দেন আম্মা আমি আসছি দরজা খুলেন। দরজা খুলা মাত্র বাহির থেকে ১০-১৫ জনের একদল মুখোশধারী সশস্ত্র ডাকাত ঘরে প্রবেশ করে ৮ বছরের শিশু সন্তান আনাসকে গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে জিম্মি করে ঘরের সমস্ত চাবি ডাকাতরা ছিনিয়ে নেয়। এসময় তারা স্টিলের আলমারি, ওয়ারড্রব খুলে ৭ ভরি স্বর্ণ নগদ ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং দামী মালামাল সহ ১২ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে। শিরিন আক্তারের শ্বাশুড়ি রুফিয়া বেগমের এর কানে গলার স্বর্ণালংকার খুলে নেয়। এসময় বাড়ীর লোকজন তাদের শোর চিৎকার শুনে গ্রামের মসজিদের মাইকে ডাকাত আক্রমণের খবর মাইকিং করলে ডাকাত দল দ্রুত পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ির এ এস আই আবুল কাসেম সঙ্গীয় ঘটনাস্থলে এসে পরিদর্শন করেন। এ বিষয়ে বুড়িচং থানার ওসি তদন্ত কানন চৌধুরী বলেন ঘটনার খবর পেয়ে শনিবার রাতে ঘটনাস্থলে দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ির এ এস আই আবুল কাসেম কে সঙ্গীয় ফোর্স সহ পাঠিয়েছি। আমরা ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেব।
