সংবাদ প্রকাশের পর কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার কামারখাড়া, বালিখাড়া, শ্রীপুরসহ গোমতির নদীর চরের কয়েকটি এলাকা থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটার বিরূদ্ধে মধ্যরাতে অভিযান চালিয়েছে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন ও যৌথবাহিনী। (৫ মার্চ ২০২৫) বুধবার মধ্যরাতে জেলা প্রশাসক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.আমিরুল কায়ছার এর নির্দেশনায় আদর্শ সদর উপজেলার সহকারি কমিশনার তানজিনা জাহান ও যৌথবাহিনীর একটি টিম পালপাড়া ব্রিজ সংলগ্নে ৩ ঘন্টা যাবত এ অভিযান পরিচালনা করেন।সূত্র থেকে জানা যায়, এসময় ঘটনাস্থলে থাকা গোমতির চর থেকে মাটিবহনকারী বড় ড্রামট্রাক ২টি,ছোট ড্রামট্রাক ৪টি,ছোট ট্রাক্টর ১টি জব্দ করে নিয়ে যায়।উক্ত অভিযানে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ভূক্তভোগীসহ এলাকাবাসী। স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়,কিছুদিন যাবত গোমতী নদীর মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে একাধিক সিন্ডিকেট। প্রতিদিন সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার পর ৮টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত চলছিল মাটিখেকোদের মহোৎসব। মাটি কাটার ফলে হুমকির মুখে পড়ছে গোমতী বাঁধ। নষ্ট হচ্ছে হাজার হাজার একর কৃষিজমি।গত বছর বুড়িচং অংশ দিয়েই গোমতী নদীর বাঁধ ভেঙে হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি ছিল এবং ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে যায়। স্থানীয়রা আরও জানায়, গভীর রাত থেকে শুরু হয় চরের মাটি কাটা। থামে ভোররাতে। শতাধিক ট্রাক্টরে করে গোমতীর চরের বেশির ভাগ মাটি যায় বিভিন্ন ইটভাটায়।ট্রাক্টরের চাকায় নদীপারের পাকা সড়কগুলো চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে ধুলাবালিতে গোমতীপারের বাসিন্দাদের বেঁচে থাকা কষ্টকর হয়ে পড়ে। বেশির ভাগ স্থানে ভেকু ও কোদাল দিয়ে লোপাট হচ্ছে চরের কৃষিজমির উর্বর মাটি।এতে গোমতী নদীর চর এলাকায় প্রতিদিনই কমছে কৃষিজমির পরিমাণ। আর গোমতী নদীর দুই পাশের প্রতিরক্ষা বাঁধও দিন দিন দুর্বল হয়ে পড়েছে। বর্ষার সময় নদীতে জোয়ার এলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। এ বিষয়ে অভিযান পরিচালনাকালে সহকারি কমিশনার ভূমি তানজিনা জাহান জানায়,গোমতী চরে মাটি কাটার বিরুদ্ধে প্রশাসনের এ অভিযান চলমান থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *