কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় নাগাইশ গ্রাম গাছ কর্তনের অভিযোগ!

কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার নাগাইশ বড় ছোট মিলিয়ে প্রায় ১৬টি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের নেতা মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে।এ ঘটনায় ব্রাহ্মণপাড়া থানায় ৪ জনকে আসামী করে একটি অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী মো. জাহাঙ্গীর আলম।( ১৪ নভেম্বর
২০২৪) বৃহস্পতিবার বিকেলে অভিযোগ ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মজিবুর রহমান বিগত দিনে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে সে জাহাঙ্গীর আলমে পুকুর দখল করে। পাড়ে থাকা গাছ কেটে নিয়ে যায়। প্রতিবাদ করতে গেলেই হুমকি ধমকি আর মামলা দিয়ে সরিয়ে রাখতো। দেখা যায়, পুকুরের পাড়ের বড় ছোট মিলিয়ে প্রায় ১৫/১৬ টি গাছ কেটে ফেলে রাখছে। এ ঘটনায় ব্রাহ্মণপাড়া থানায় ৪ জনকে আসামী করে একটি অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী মো. জাহাঙ্গীর আলম। অভিযুক্ত আসামীরা হলেন, নাগাইশ গ্রামের মৃত, আলী আহাম্মদের ছেলে মো. মজিবুর রহমান (৪৮)মৃত, আয়েশ মুন্সীর ছেলে আবুল কালাম ইদ্রিস(৬০) নিশি কম্ভ সুক্লদাসের ছেলে শ্রী নান্টু চন্দ্র (৪০) শ্রী নান্টু চন্দ্র দাসের ছেলে শুভ চন্দ্র দাস (২২) অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, এ জায়গাটি নিয়ে দেওয়ানী মামলা আদালতে চলমান। জায়গাটি এতদিন জোর করে দখল করে রাখে। এখনো কয়েক জনের যোগসাজশে আমি সহ দুইজন স্বাক্ষী ১৬ শতক জায়গা দখল করতে চায়। গত ৬ নভেম্বর সকালে আমার পুকুর পাড়ের ১৫/১৬ টি একাশি গাছ কেটে ফেলে। যার মূল্য আনুমানিক ১,০০,০০০/-( এক লাখ টাকা) আমি বাঁধ দিতে গেলে তারা আমাকে গালাগালি করে। এবং মারমুখী হয়ে আমাকে হুমকি ধমকি দিতে থাকে। ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে মুজিবুর রহমান আমার জায়গা দখলে সব কিছু ভোগ করেছে। পুকুরের মাছ আমিও ধরতাম সেও ধরতো। কিছু বললেই হামলা করতো আর পুলিশের ভয় দেখাই তো। আমি ঐ একাধিক অভিযোগ করেও কোন সমাধান পাইনি। মজিবুর রহমান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে শশীদলে মিছিল করেছে। যারা আন্দোলনে গেছে তাদেরকে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে। আমাকে সে একাধিক মামলা দিয়েছে। এখন তার সরকার ক্ষমতায় নাই তারপরেও কত বড় সাহস সে আমার গাছ গুলো কেটে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। বাঁধা দেওয়াতে গাছ ফেলে পালিয়েছে। স্থানীয় প্রতিবেশী অভিযোগের স্বাক্ষী মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, আমি স্বাক্ষী দেওয়ার কারণে আমার বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়ে আসছে আমি যদি স্বাক্ষী দেই তাহলে আমার হাত পা ভেঙে দেবে। তাদের ভয়ে কেউ স্বাক্ষী দিতে চায় না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মজিবুর রহমান বলেন,আমি এতোদিন প্রবাসে ছিলাম, এটা আমার বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র। এ জায়গা আমার এবং এ জায়গার সকল কাগজপত্র আমার কাছে আছে। আমি কোন অন্যায় কাজ করি না। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তারা কেন এমন করছে আমি কিছু বলতে পারবো না। ব্রাহ্মণপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম আতিক উল্লাহ বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আমি একজন অফিসারকে দায়িত্ব দিয়েছি তদন্ত করার জন্য। তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

By তালাশ বাংলা ডেস্ক

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ আক্কাস আল মাহমুদ হৃদয়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *