জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা’র প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মানিত সভাপতি, দেশবরেণ্য প্রবীণ সাংবাদিক, কলামিস্ট মুহম্মদ আলতাফ হোসেন সোমবার রাতে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না-লিল্লাহ ওয়া ইন্না-ইলাইহি রাজিউন।মরহুমের জানাজা নামাজ আগামীকাল মঙ্গলবার বাদ যোহর মুগদা জিলপাড় মসজিদের সামনে অনুষ্ঠিত হবে। এই গুণী ব্যক্তির মৃত্যুতে কুমিল্লা জেলা সহ দেশের সকল জেলা ও উপজেলার সাংবাদিকরা গভীর শোক প্রকাশ করেছে। উল্লেখ্য, দেশের সাংবাদিকতা জগতে মুহম্মদ আলতাফ হোসেন একটি পরিচিত নাম। দেশের অন্যতম প্রবীণ মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মুহম্মদ আলতাফ হোসেন ১৯৪৭ সালে বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতি ইউনিয়নের ঢালমারা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাজীবন শেষে ১৯৭০ সালে সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করে বিগত ৪৬ বছরে দৈনিক আজাদ, দৈনিক গণকণ্ঠ, দৈনিক জনতা, দৈনিক সমাজ, দৈনিক ইনকিলাব, পত্রিকায় বিভিন্ন সময়ে গুরুত্বপূণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৭০ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ বেতারের বাংলা সংবাদ বিভাগে কাজ করেন। তাছাড়া বেতারে বিভিন্ন কথিকা ও সংবাদ পর্যালোচনা লিখেছেন দীর্ঘদিন। তিনি অবিভক্ত ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাহী সদস্য ছিলেন। তিনি নজরুল একাডেমীসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে এখনও সম্পৃক্ত রয়েছেন। তার উদ্যোগেই ১৯৮২ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারী দেশের সর্বস্তরের সাংবাদিকদের একক সংগঠন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা প্রতিষ্ঠা লাভ করে। বিভিন্ন সংবাদপত্র ও ম্যাগাজিনে তার বহু প্রবন্ধ, গল্প, কবিতা ও নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি দেশের অন্যতম আন্তর্জাতিক বিশেষক হিসেবে পরিচিত। ১৯৭৩ সাল থেকে তিনি আন্তর্জাতিক বিষয়ে নিয়মিত পর্যালোচনামূলক লেখা লিখে গেছেন। দেশের সাংবাদকি সমাজ বিশেষ করে গ্রামীণ সাংবাদকি সমাজরে কল্যাণে মুহম্মদ আলতাফ হোসনে আজীবন নিবেদিত প্রাণ। দশেরে সংবাদপত্র জগতকে একটি শিল্প হিসেবে গড়ে তোলা এবং সংবাদপত্র ও সাংবাদকিতার স্বাধীনতা নশ্চিতি করার ক্ষেত্রে মুহম্মদ আলতাফ হোসেনের প্রয়াস নরিন্তর। দশেরে সংবাদপত্র শিল্পকে একটি সুষ্ঠু ভত্তিরি উপর প্রতষ্ঠিতি করা এবং র্সবস্তররে সাংবাদকি ভাইদের আর্থিক নিরাপত্তা ও সামাজিক মর্যাদা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তিনি নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন।
