রক্ত মাড়িয়ে সংলাপ নয় বলে মন্তব্য করেছেন সরকারি চাকরিতে কোটাপদ্ধতির যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন। এদিকে কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি সরকার বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুর আড়াইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি একথা বলেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, আন্দোলনকারীদের আলোচনার প্রস্তাবকে স্বাগত জানায় সরকার। আমাকে ও শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে দায়িত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ওরা চাইলে আমরা আজকেই আলোচনায় বসতে রাজি। দুপুর আড়াইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি আহ্বান জানান। আগামী ৭ আগস্টের শুনানি এগিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। অ্যাটর্নি জেনারেলকে বলেছি আগামী রোববার (২১ জুলাই) আদালতে যাতে শুনানি করা যায় সে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। এসময় তিনি সহিংসতা বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রত্যাহার করার আহ্বান জানান। এরআগে, বুধবার (১৭ জুলাই) দিবাগত রাত পৌনে তিনটার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক টিমের পক্ষে ফেসবুকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। এতে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনের পাশাপাশি আলোচনার পথও খোলা থাকবে বলে জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এতে বলা হয়, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা চালিয়ে সরকারই উদ্ভূত পরিস্থিতি তৈরি করেছে। শিক্ষার্থীরা পড়ার টেবিলে ফিরতে চায়। সরকারের কাছ থেকে দৃশ্যমান পদক্ষেপ সমাধানের পথ তৈরি করতে পারে। আমাদের আন্দোলনের পাশাপাশি আলোচনার পথও খোলা থাকবে। হামলার সাথে জড়িত ছাত্রলীগ কর্মী ও দায়িত্বরত পুলিশদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। জাতীয় সংসদে আইন পাশের মাধ্যমে কোটার সংস্কার করতে হবে।